মাসিক না হলে করণীয়, কারণ, ও মাসিক নিয়মিত করার উপায়
মাসিক নারীর শারীরিক ও প্রজনন স্বাস্থ্য সম্পর্কিত একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রক্রিয়া। মাসিক নিয়মিত না হলে বা মাসিক না হলে এটি একাধিক কারণের ফলে হতে পারে। এ সমস্যার সমাধানের জন্য কিছু বিষয় মাথায় রাখা জরুরি।
মাসিক না হওয়ার কারণ
গর্ভাবস্থা: গর্ভধারণ হলে মাসিক বন্ধ হয়ে যায়। তাই মাসিক না হলে প্রথমে গর্ভাবস্থা পরীক্ষা করা উচিত।
হরমোনাল ভারসাম্যহীনতা: পলিসিস্টিক ওভারি সিনড্রোম (PCOS), থাইরয়েড সমস্যা, বা অন্যান্য হরমোনজনিত কারণে মাসিক অনিয়মিত হতে পারে।
অতিরিক্ত ওজন বা কম ওজন: অত্যধিক ওজন বৃদ্ধি বা কম ওজন থাকলে মাসিকের সাইকেলে পরিবর্তন আসতে পারে।
স্ট্রেস ও উদ্বেগ: অতিরিক্ত মানসিক চাপ মাসিকের নিয়মিততা প্রভাবিত করতে পারে।
ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া: কিছু ওষুধ যেমন গর্ভনিরোধক পিল বা অ্যান্টিডিপ্রেসেন্ট মাসিকের নিয়মিততায় প্রভাব ফেলতে পারে।
মাসিক না হলে করণীয়
গর্ভধারণ পরীক্ষা: প্রথমেই গর্ভাবস্থা পরীক্ষা করতে হবে।
ডাক্তারি পরামর্শ: যদি মাসিক অনিয়মিত হয় বা ৩ মাসের বেশি সময় ধরে বন্ধ থাকে, তবে একজন স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেয়া উচিত।
হরমোনাল পরীক্ষা: ডাক্তার হরমোনের মাত্রা পরীক্ষা করতে পারেন এবং প্রয়োজনে চিকিৎসা দিতে পারেন।
ওজন নিয়ন্ত্রণ: স্বাভাবিক ওজন বজায় রাখার জন্য স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস এবং নিয়মিত ব্যায়াম করা উচিত।
স্ট্রেস ম্যানেজমেন্ট: যোগব্যায়াম, মেডিটেশন, এবং অন্যান্য রিলাক্সেশন টেকনিক স্ট্রেস কমাতে সহায়তা করতে পারে।
মাসিক নিয়মিত করার উপায়
নিয়মিত ব্যায়াম: ব্যায়াম শারীরিক সুস্থতা বজায় রাখতে সহায়তা করে এবং মাসিক নিয়মিত রাখতে পারে।
স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস: সুষম খাদ্য, যথাযথ পুষ্টি এবং পর্যাপ্ত পানি পান করা জরুরি।
হরমোনাল চিকিৎসা: ডাক্তারি পরামর্শে প্রয়োজনীয় হরমোনাল চিকিৎসা নিতে হবে।
মাসিক হওয়ার ট্যাবলেট
মাসিক নিয়মিত করার জন্য কিছু ওষুধ ব্যবহৃত হতে পারে। যেমন:
প্রোজেস্টেরন ট্যাবলেট: প্রোজেস্টেরন ট্যাবলেট সাধারণত মাসিক চালু করতে বা নিয়মিত করতে ব্যবহার করা হয়। এটি হরমোনের ভারসাম্য বজায় রাখতে সহায়তা করে।
গর্ভনিরোধক পিল: কিছু ক্ষেত্রে গর্ভনিরোধক পিল মাসিক নিয়মিত করতে ব্যবহার করা হয়।
মাসিক না হওয়ার ট্যাবলেট
যদি মাসিক না হয়ে থাকে এবং গর্ভাবস্থা না হয় তবে, ডাক্তারি পরামর্শে প্রোজেস্টেরন ট্যাবলেট ব্যবহার করা যেতে পারে। তবে এটি নিজে থেকে খাওয়া উচিত নয়।
ট্যাবলেট কখন খাবেন
ডাক্তারি পরামর্শে: ট্যাবলেট কখন এবং কিভাবে খেতে হবে তা সম্পূর্ণভাবে ডাক্তারি পরামর্শের ওপর নির্ভর করবে।
নিয়মিত ডোজ: নির্ধারিত ডোজ নিয়মিতভাবে খেতে হবে।
মাসিক না হওয়ার পেছনে বিভিন্ন কারণ থাকতে পারে এবং এর সমাধানের জন্য সঠিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও চিকিৎসা প্রয়োজন। সঠিক পরামর্শ এবং চিকিৎসা নিয়ে মাসিক নিয়মিত করা সম্ভব। তবে নিজে থেকে কোনো ওষুধ গ্রহণ করা উচিত নয়, কারণ এতে স্বাস্থ্যের উপর ক্ষতিকর প্রভাব পড়তে পারে।