কুরআন শিক্ষার সহজ উপায় ২৭ ঘণ্টায় কুরআন শিখুন

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম

কুরআনের বাণীঃ

আলিফ লাম মীম। এটি সেই কিতাব যাতে কোন সন্দেহ নেই। ধার্মিকদের জন্য যারা পথ দেখায়। যারা অদৃশ্যে বিশ্বাস করে এবং সালাত কায়েম করে। এবং 'রিজিক' বা উত্তম জিনিস থেকে ব্যয় করে যা আমি তাদের দিয়েছি। (সূরা আল-বাকারা : ২-৩)


হাদীসের বাণীঃ

কুরআন তিলাওয়াত ও শিক্ষার ফযীলতঃ

উসমান ইবনে আফফান রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “তোমাদের মধ্যে সর্বোত্তম সেই ব্যক্তি যে নিজে কুরআন শিখে।  এবং অন্যদের শেখায়।" (বুখারি : ৫০২৭)


কুরআন তিলাওয়াতের মর্যাদাঃ

আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহা থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “যে হাফেজ (যিনি পরিষ্কারভাবে কুরআন তেলাওয়াত করে এবং পানির মতো মুখস্থ করে) সে হবে সাহাবী।  (ফেরেশতাদের মধ্যে) সবচেয়ে সম্মানিত ও নেককার লেখকের। এবং যে ব্যক্তি (নিখুঁত মুখস্থ না থাকার কারণে) কোরআন তেলাওয়াতে 'ওহ-ওহ' বলে এবং পড়তে অসুবিধা হয়, তার জন্য দুটি পুরস্কার রয়েছে। " (একটি তেলাওয়াত এবং দ্বিতীয়টি কষ্টের কারণে।) (বুখারি, মুসলিম)


কুরআন তিলাওয়াতকারীর পিতা-মাতার মর্যাদা:

হজরত মুআয জুহানী (রা.) থেকে বর্ণিত যে, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, যে ব্যক্তি কোরআন তেলাওয়াত করবে এবং তার ওপর আমল করবে, তার পিতা-মাতাকে কিয়ামতের দিন এমন মুকুট পরানো হবে, যার আলো হবে তার চেয়েও উজ্জ্বল।  সূর্যের আলো, যদি সেই সূর্য তোমার হত।  বাড়িতে তাহলে যে ব্যক্তি নিজে কুরআনের উপর আমল করে সে সম্পর্কে আপনার কি ধারণা?

(আবু দাউদ, আহমাদ)।


প্রথম পাঠ-


প্রথম ঘন্টা কুরআন শিখুন - ছবি দেওয়া হলো : দুঃখিত,, ছবি নাম্বার গুলো উল্টা পাল্টা হয়ে গেছে, দয়া করে আপনার একটু খোঁজ নিবেন।


















দ্বিতীয় পাঠ - দ্বিতীয় ঘন্টা


কুরআন সম্পর্কে কুরআনের বাণী:


অর্থঃ আমি আমার বান্দার প্রতি যে কুরআন নাযিল করেছি সে সম্পর্কে তোমাদের মধ্যে যদি কোন সন্দেহ থাকে তবে এর অনুরূপ একটি সূরা রচনা কর।  আল্লাহ ব্যতীত যারা তোমাদের সাহায্য করে তাদেরকে সাথে নাও, যদি তোমরা সত্যবাদী হও।  আর যদি তা করতে না পারেন, কখনোই পারবেন না, তাহলে জাহান্নামের আগুন থেকে বাঁচার চেষ্টা করুন, যার ইন্ধন হবে মানুষ ও পাথর।  (২ সূরা বাকারা : ২৩-২৪)


  হাদীসের বিষয়ে কুরআন:

  অর্থ: হজরত আবদুল্লাহ ইবনে ওমর (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘মানুষের অন্তরে যেমন মরিচা পড়ে, পানির সংস্পর্শে আসার কারণে লোহাতে যেমন মরিচা পড়ে।  জিজ্ঞেস করা হলো, ইয়া রাসূলাল্লাহ!  এটা পরিষ্কার করার উপায় কি?  তিনি বলেন, মৃত্যুকে বেশি বেশি স্মরণ করা এবং পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত করা।  (এয়ার হকি)


মাখরাজের বর্ণনা (উচ্চারণের স্থান) আরবি বর্ণ ২৯, মাখরাজ ১৭


আরবি হরফের 100% সঠিক উচ্চারণ শেখার জন্য একজন অভিজ্ঞ আলেমের (মাওলানা/ক্বারী/হাফেজ সাহেব) পরামর্শ নেওয়া জরুরী।


মাখরাজ সম্পর্কে কিছু কথা:

এটা মানতেই হবে যে বাংলা হরফ দিয়ে আরবি হরফের উচ্চারণ সম্ভব নয়। তবে কাছে পাওয়া অবশ্যই সম্ভব। আমরা কুরআনের কাছাকাছি চলে যাব, ইনশাআল্লাহ।

মাখরাজ অর্থ উচ্চারণের স্থান। আরবি অক্ষর ২৯, মাখরাজ ১৭। সহজ করে বললে, আমরা জিহ্বা দিয়ে যে কোনো শব্দ উচ্চারণ করি। আরবি ভাষার ২৯টি অক্ষর উচ্চারণের জন্য আমাদের জিহ্বাকে ১৭টি ভিন্ন অবস্থানে রাখতে হবে। কিন্তু অভিজ্ঞতায় দেখা গেছে আরবি (عع ح ق ظ ذ) এই ৬টি অক্ষর ছাড়া বাকি ২৩টি অক্ষর বাংলা অক্ষর দিয়ে মোটামুটি সহজে উচ্চারণ করা যায়।

 তারপরও কেউ কেউ বলেন যে বাংলা অক্ষর দিয়ে অ বা অ উচ্চারণ করা সম্ভব নয়। তাকে উদাহরণ দেওয়া ছাড়া আমার কিছু বলার নেই। আমি বলব, ধরুন একজন ভাই, আপনাকে বললেন, "হানি খামু" ভাইয়ের বাংলা মাখরাজ খুব ভুল। কিন্তু আপনি ঠিকই বুঝেছেন, ভাই বলেছেন "পানি খাব"। একইভাবে, আরবি ভাষা 100% বিশুদ্ধ না হলেও, আল্লাহ তায়ালা আমাদের কুরআন পাঠ বুঝবেন। কারণ আল্লাহ বলেন,

  "ওয়া আন-নাল ল-হা সামি-উম-বাসি---আর"

  নিশ্চয়ই আল্লাহ সবকিছু শোনেন ও দেখেন। (সূরা হজ, আয়াত 61)

  নিচের এই ৬টি অক্ষর (ععحق ظذ) উচ্চারণে বিশেষ যত্ন নিতে হবে।







 তৃতীয় পাঠ - তৃতীয় ঘন্টা

কুরআন সম্পর্কে কুরআনের বাণীঃ

    অর্থ: আর অবশ্যই এটি (কুরআন) মুমিনদের জন্য হেদায়েত ও রহমত।  তোমার রব তার শাসন ক্ষমতা অনুযায়ী তাদের মধ্যে ফয়সালা করবেন।  তিনি পরাক্রমশালী, জ্ঞানী।  তাই আল্লাহর উপর ভরসা রাখুন।  নিশ্চয়ই আপনি সত্য ও স্পষ্ট পথে আছেন।  (২৭ সূরা নাম: ৭৭-৭৯)

    হাদীসের উপর কুরআন:
 
  অর্থ: হজরত আবু যর (রা.) বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, হে আবু যর!  সকালে গিয়ে কালামুল্লাহ (কুরআন) শরীফের একটি আয়াত পাঠ করলে তা একশত রাকাত নফল নামাজের চেয়ে উত্তম।  আর যদি আপনি জ্ঞানের একটি অধ্যায় শিক্ষা দেন, তার উপর আমল করা,, হোক বা না,, হোক, তাহলে তা এক হাজার রাকাত নফল নামায।"ভালো (ইবনে মাজাহ)

 হরফ চেনার সহজ উপায়
এই 11টি অক্ষরের বিদ্যমান সম্মিলিত নকশা থেকে আমরা 22টি অক্ষর শিখব।
















 আপনারা যদি চতুর্থ থেকে ২৭তম পড়তে চান তাহলে আমাকে কমেন্ট করে জানাবেন,, PDF দিয়ে দিব। ধন্যবাদ আল্লাহ হাফেজ 


Previous chapter Next chapter
No Comment
Add Comment
comment url