শিশুর দাঁত উঠছে না কেন
শিশুদের দন্ত কুসুম বিকশিত হওয়ার চক্রের তিনটি পর্ব আছে। প্রথমে দাঁত গঠনের জন্য খনিজ পদার্থের সমাগম ঘটে, দাঁত গজায়, তারপর ঝরে পড়ে। দাঁতে খনিজ পদার্থের সমাহার শুরু হয় ভ্রূণ অবস্থাতেই। গর্ভকালের মাঝামাঝি অর্থাৎ ১৪ সপ্তাহের দিকে শুরু হয় এবং অস্থায়ী দাঁতের জন্য ৩ বছর বয়স পর্যন্ত চলতে থাকে। স্থায়ী দাঁতের জন্য ২৫ বছর বয়স পর্যন্ত চলে। দাঁতের গঠন শুরু হয় মুকুট থেকে, বিস্তৃত হয় শিকড়ের দিকে।
শিশুর দাঁত ওঠে না কেন |
প্রথম দাঁত ওঠে মধ্য চোয়ালের (সেন্ট্রাল ইনসিসর), পরে তা দুপাশে ছড়াতে থাকে। এরপর শুরু হয় দাঁত পড়ে যাওয়ার পর্ব। সাধারণত ৬ বছর বয়সে দাঁত পড়া শুরু হয়, ১২ বছর বয়স অব্দি তা বহাল থাকে। স্থায়ী দাঁত ওঠে অস্থায়ী দাঁত পড়ে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে, কখনোবা ৪-৫ মাস সময় নিয়ে। এই দাঁত পড়া ও দাঁত ওঠার সময়কাল এদিক-ওদিক হলে শুরু হয় দুশ্চিন্তা। আসলে শিশুদাঁত ওঠার সঙ্গে তার শরীরের বিকাশের তাল বেশির ভাগ সময় মেলে না।
তবে ১৩ মাস বয়সেও শিশুর দাঁত না গজালে একটু দেরি হচ্ছে বলে ধরে নেওয়া যায়। তার সচরাচর কারণ হলো:
📍হাইপোথাইরড (থাইরয়েড হরমোনের অভাব)
📍পরিবারগত
📍 অজানা কারণ
📍নির্দিষ্ট কিছু দাঁত ফেটে না যাওয়ার প্রধান কারণ হল আক্কেল দাঁতের সমস্যা- বের হতে না পারা, জিঞ্জিভাল ফাইব্রোসিস।
আর কিছু শিশুর বয়স ৬ বছর হওয়ার আগেই
অকালে দাঁত উঠা শুরু হতে পারে। এর কারণ হল হিস্টিওসাইটোসিস এক্স, সাইক্লিক নিউট্রোপেনিয়া, লিউকেমিয়া, ট্রমা। আবার প্রথম থেকেই দাঁতের রং অস্বাভাবিক হতে পারে। কারণ - পুষ্টির সমস্যা, দীর্ঘস্থায়ী অসুস্থতা, ওষুধের প্রতিক্রিয়া যেমন টেট্রাসাইক্লিন।