এমএম কিট খাওয়ার নিয়ম। MM Kit কাজ কি? mm kit এর দাম
এমএম কিট হলো মাসিক নিয়মিতকরণ বা গর্ভপাতের জন্য ব্যবহৃত একটি সংমিশ্রণ ওষুধ। এটি গর্ভাবস্থা সমাপ্তির জন্য ব্যবহৃত হয়। এমএম কিট মূলত একটি ধরনের ওষুধ বা বড়ি। এই পিলটি মহিলাদের মাসিক চক্র নিয়ন্ত্রণ করতে ব্যবহৃত হয়। যারা অনিচ্ছাকৃত গর্ভাবস্থার ৬৩ দিন বা ৯ সপ্তাহের মধ্যে এমএম কিট নেয়। যদি এটি ৯ সপ্তাহের বেশি হয়। তবে এই ওষুধটি আর নেওয়া যাবে না। সমস্যা হলে একজন বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করা উচিত৷
MM Kit |
এম এম কিট খাওয়ার নিয়ম?
এমএম কিট খাওয়ার আগে আপনাকে অবশ্যই ১০০% নিশ্চিত হতে হবে যে আপনি গর্ভবতী। অনেকে মনে করেন কোনো কারণে ঋতুস্রাব বন্ধ হলে তারা গর্ভবতী হতে পারেন। গর্ভবতী না হয়ে এই ট্যাবলেট গ্রহণ করা আপনার জীবনকে মারাত্মক ঝুঁকিতে ফেলবে। তাই ১০০% নিশ্চিত হতে হবে তারপর এই ট্যাবলেটটি গ্রহণ করুন।
আপনি দুটি উপায়ে গর্ভাবস্থা পরীক্ষা করতে পারেন, হাসপাতালে গিয়ে বা ফার্মেসি থেকে একটি প্রেগন্যান্সি কিট কিনে এবং আপনি ঘরে বসে পরীক্ষা করতে পারেন। গর্ভাবস্থা পরীক্ষা করার পর এবং ৯ সপ্তাহের মধ্যে গর্ভাবস্থা নিশ্চিত হওয়ার পরে, একজন বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী এই এমএম কিট ট্যাবলেটটি নিন।
এম এম কিট কেন খায়?
অনেক সময় আমরা বিয়ের পর তাড়াতাড়ি সন্তান নিতে চাই না। কিন্তু অসতর্কতার কারণে সহবাসের পর দেখা গেছে পেটে বাচ্চা আসে অর্থাৎ গর্ভবতী হয়ে যায়। তখন আমরা চিন্তায় পড়ে যাই কি করা যায়। যদি মিলন বা যৌনমিলনের পর 9 সপ্তাহের মধ্যে এমএম কিট সেবন করা যায় তাহলে বাচ্চা নষ্ট হয়ে যাবে এবং রক্তক্ষরণের মাধ্যমে বের হয়ে আসবে এবং মাসিক শুরু হবে।
এম এম কিট খাওয়ার সঠিক নিয়ম?
এমএম কিটের একটি প্যাকেটে মোট ৫টি ট্যাবলেট রয়েছে। মিফেপ্রিস্টোন নামে একটি বড় ২০০ মিলিগ্রাম ট্যাবলেট এবং মিসোপ্রোস্টল নামে ৪টি ছোট ট্যাবলেট রয়েছে।
এমএম কিট নেওয়ার সঠিক নিয়ম হল বড় ট্যাবলেট আগে যতটা সম্ভব ডাক্তারের সামনে বসে খেতে হবে। তারপর ২৪ ঘন্টা পর বাকি ৪টি ছোট ট্যাবলেট বের করে জিভের নিচে রাখুন। এভাবে আধা ঘণ্টা রাখতে হবে যাতে ট্যাবলেটগুলো পেটে গলে যায়। এ সময় মুখে থুথু ফেলে ফেলা যাবে না। ট্যাবলেটটি আধা ঘণ্টার মধ্যে শেষ না হলে বা মুখে আটকে গেলে পানি দিয়ে সেবন করুন।
ওষুধ খাওয়ার পর কোনো গুরুতর সমস্যা বা অতিরিক্ত রক্তপাত হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। আর ওষুধ খাওয়ার কয়েকদিন পর হাসপাতালে গিয়ে পরীক্ষা করে নিশ্চিত হন গর্ভপাত হয়েছে কিনা। না হলে ডাক্তারের পরামর্শ নিন।
এম এম কিট এর দাম?
এমএম কিটের একটি প্যাকেটে ৫টি ট্যাবলেট রয়েছে। ১টি বড় এবং ৪টি ছোট।এমএম কিটের এক প্যাকেটের দাম ৩০০ টাকা।
এম এম কিট খেলে কতদিন ব্লিডিং হয়?
এমএম কিট নেওয়ার পর সাধারণত চার থেকে পাঁচ দিন রক্তপাত হতে পারে। কিছু ক্ষেত্রে ১০ দিনের জন্য রক্তপাত অনুভব করে। যদি ১০-১২ দিন পরে রক্তপাত হয় তবে একজন ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করুন।
এমএম কিট নেওয়ার পর পিরিয়ড না হলে কী?
এই বিষয়টি অনেক মেয়ের মনে প্রশ্ন জাগায়। Mm kit খাওয়ার পর পিরিয়ড না হলে কি করবেন। এমএম কিট গ্রহণের পর আপনার পিরিয়ড না হলে কি করতে হবে।
বাংলাদেশে গর্ভাবস্থা নষ্ট করতে বা মাসিক নিয়মিত করতে বা গর্ভপাত বলতে সব ওষুধের মধ্যে MM কিট সবচেয়ে সাধারণ এবং সবচেয়ে কার্যকর। বেশিরভাগ মহিলাই তাদের শিশুর গর্ভপাতের জন্য এই এমএম কিট ওষুধ ব্যবহার করেন। এখানে. কিন্তু সামসা হয় যখন কেউ ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়াই এমএম কিট খায়। এমএম নেওয়ার পর মাসিক না হওয়াই সবচেয়ে বেশি সমস্যা। সত্যি বলতে কি, এমএম নেওয়ার পর মাসিক না হওয়াটা একটা বড় ব্যাপার। ভয় পাওয়ার কিছুই নেই।
এম এম কিট খাওয়ার পর ব্যাথা?
এম এম কিট খাওয়ার পর ব্যথা হলে তা অস্তির থাকতে পারে, যেহেতু এই টেস্টে সকলের শরীরের অবস্থা একে অপর থেকে ভিন্ন। ব্যথা সাধারণভাবে শোকজনক এবং কিছুদিনের মধ্যেই সামান্য করে যায়। তবে, যদি ব্যথা অস্বস্তি বা অসহ্য করা হয় অথবা বৃদ্ধি করে তার কোনও সাধারণ সুযোগ না হওয়ার কারণে সত্যান্বেষী হয়, তবে আপনার চিকিৎসকের সাথে যোগাযোগ করা উচিত।
এমএম কিট গ্রহণের কত দিন পর সাধারণত রক্তপাত হয়?
এম এম কিট খাওয়ার পর সাধারণত কত দিন রক্তপাত হয় তা অনেকেই জানতে চান। এম এম কিট নেওয়ার পরে, সাধারণত 24 ঘন্টা বা 72 ঘন্টার মধ্যে রক্তপাত শুরু হয়। যাইহোক, অনেক ক্ষেত্রে, এটি খুব দেরি বা খুব দ্রুত কাজ করতে পারে। এমএম কিট নেওয়ার পর কিছু মেয়ের খুব বেশি রক্তপাত হয়। রক্তপাত শুরু হয় এবং অনেকের খুব দেরিতে শুরু হয়। এটা নিয়ে চাপ দেওয়ার কোনো কারণ নেই। কিছু ক্ষেত্রে, এটি 7 দিন পর্যন্ত লাগতে পারে, তবে রক্তপাত 7 দিনের বেশি হলে অবশ্যই দেরি না করে একজন ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করুন এবং আল্ট্রাসাউন্ড করান।
এম এম কিট খেলে কি ক্ষতি হয়?
এম এম কিটের ব্যবহার করতে কোনো সাধারণ ক্ষতি হয়না, তা সামান্য বৈশিষ্ট্যতার সহায়ে আপনার জীবনকে বাঁচাতে সাহায্য করতে পারে। এই কিটগুলি আপাতকালীন চিকিৎসা সময়ে প্রয়োজন হতে পারে এবং এটি একটি বৈষম্যজনক পরিস্থিতিতে জীবন রক্ষা করতে সাহায্য করতে পারে।
সঠিকভাবে এবং প্রশিক্ষিত ব্যবহার করা ছাড়া, এই কিটগুলি বিপজ্জনক হতে পারে এবং ক্ষতি হতে পারে। প্রয়োজনে এই কিটগুলির সঠিক ব্যবহারের জন্য একজন চিকিৎসক বা পেশাদার স্বাস্থ্য কর্মীর সাথে যোগাযোগ করুন।
Mm kit খেয়ে মাসিক না হলে কি করনীয়?
MM Kit খাওয়ার পর, এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার কারণে, 15-20 দিনের জন্য মাসিক বন্ধ হয়ে যায়। যাইহোক, এমএম কিট খাওয়ার 7-10 দিন পরে, গর্ভপাত হয়েছে কিনা তা দেখতে আবার পরীক্ষা করুন। এমএম কিট খাওয়ার পর অনেক সময় গর্ভপাত হয় না। যদি গর্ভপাত ঘটে এবং মাসিক বন্ধ হয়ে যায় তবে এটি ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার কারণে হয়। যদি 15 দিনের বেশি মাসিক না হয়, তাহলে একজন গাইনোকোলজিস্ট ডাক্তারের সাথে দেখা করতে পারেন।
এমএম কিট খেয়ে পরে রক্তপাত বন্ধ হচ্ছে না?
রক্তপাত সাধারণত 4-5 দিন স্থায়ী হয়, কিন্তু যদি এটি 10 দিনের বেশি চলতে থাকে কিন্তু রক্তপাত বন্ধ না হয়, অবিলম্বে একজন ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করুন।
এম এম কিট খাওয়ার পর ব্যাথা?
mm kit খাওয়ার পর অনেকেই বমি অনুভব করেন, প্রধানত এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার কারণে। খাওয়ার পরপরই বা আধা ঘণ্টার মধ্যে বমি হলে রক্তপাত হচ্ছে কি না তা দেখার জন্য অপেক্ষা করুন। যদি না হয়, তাহলে ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করুন এবং আবার খাওয়া নিশ্চিত করুন। আর বারবার বমি হলে দ্রুত চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যান।
এম এম কিট কি খালি পেটে খাওয়া যায়?
না, এম এম কিট খালি পেটে খাওয়া যায় না। এম এম কিট আপাতকালীন চিকিৎসা সময়ে ব্যবহৃত হয় এবং তা প্রস্তুত করার জন্য অনেকগুলি উপাদানের দরকার হয়, যেগুলি খাওয়া হয় না।
এম এম কিটের মধ্যে রয়েছে বিভিন্ন প্রকারের উপাদান, যেমন শোকজনক বা অন্যান্য চিকিৎসার উদ্দেশ্যে ব্যবহৃত হতে পারে। এই কিটের উপাদানগুলি আপাতকালীন চিকিৎসার সময়ে প্রয়োজন হয় এবং যেগুলি একজন চিকিৎসক বা পেশাদার স্বাস্থ্য কর্মী দ্বারা ব্যবহৃত হতে পারে, সেগুলি খাওয়া হয় না এবং নিজেই ব্যবহার করা বা খাওয়া উচিত নয়।
এম এম কিট ব্যবহারের আগে এবং ব্যবহার পরে চিকিৎসার পেশাদারের সাথে যোগাযোগ করা গুরুত্বপূর্ণ, তাতে উচিত নিশ্চিত হতে যে এটি সুরক্ষিত এবং প্রয়োজন মোতাবেক ব্যবহৃত হচ্ছে।
এম এম কিট খাওয়ার পর বমি হলে?
এম এম কিট খাওয়ার পর যদি বমি হয়, তাদের ডাক্তার দ্বারা সাধারিত পরীক্ষা এবং উপযুক্ত চিকিৎসা নিতে দরকার। বমি হওয়ার কারণ বিভিন্ন হতে পারে এবং এটি অসুস্থতা, অবস্থার পরিবর্তন, অথবা কোনও আবশ্যক বা অতিরিক্ত প্রস্তুতির জন্য ব্যবহৃত কোনও ঔষধের প্রতি প্রতিক্রিয়ার ফলাফল হতে পারে।
এম এম কিট ব্যবহার করার পর যদি বমি হয়, তাদের দ্রুত চিকিৎসা প্রদানের জন্য ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করা উচিত। বমি অবস্থা অস্বাভাবিক হলে বা এম এম কিটে ব্যবহৃত কোনও উপাদানে অতিরিক্ত প্রতিক্রিয়া হতে পারে, তাদের স্বাস্থ্য যাচাই করতে ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করা উচিত।
Mm kit খাওয়ার পর কোমর ব্যথা?
এম এম কিট ব্যবহারের পর যদি কোমরে ব্যথা হয়, তবে তার কারণ ও এটে সাম্যাপ্ত সময় বের করতে ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করা উচিত। এই ব্যথার কারণ ভিন্ন হতে পারে এবং ডাক্তার আপনার অবস্থার মূল্যায়ন করতে সহায় করতে পারেন।
এম এম কিট ব্যবহারের পর কোমরে ব্যথা হতে পারে কারণ এই কিট আপাতকালীন চিকিৎসা সময়ে ব্যবহৃত হয় এবং এটি চিকিৎসার প্রক্রিয়াগুলির ব্যবহার করতে সাহায্য করতে পারে।
কোমরে ব্যথার কারণে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসা প্রয়োজন হলে তা শোধ করতে অবিলম্বে ডাক্তারের পরামর্শ নেয়া উচিত।