সেরা তিনটি ভিডিও এডিটিং অ্যাপ ২০২৪

সেরা ভিডিও এডিটিং অ্যাপ: আজকাল অনেকেই ইউটিউব ভিডিও তৈরিকে পেশা হিসেবে বেছে নিচ্ছেন।  পেশা না হলেও স্মার্টফোন ব্যবহার করে ভিডিও তোলা অনেকেরই নেশা!  ভিডিওতে বিশেষ মুহূর্তগুলি তোলার সাথে সাথেই ক্যাপচার করার প্রবণতা সাধারণ মানুষের মধ্যে সহজ।  আর প্রাপ্ত ভিডিওতে যদি একটু শৈল্পিক ছোঁয়া দেওয়া হয়, এডিটিং-এর সামান্য হেরফের করা হয়, তাহলে ভিডিওটি নিমিষেই চিত্তাকর্ষক হয়ে ওঠে!  তাই, ছাত্র-শৈলীর ভিডিও মেকিং হোক বা মুন্সিয়ানা দিয়ে প্রফেশনাল ভিডিও মেকিং – উভয়ই স্মার্টফোন ব্যবহারকারীদের মধ্যে উচ্চ চাহিদা।  আর এই কাজে একজন মানুষের সবচেয়ে বড় সাহায্য হতে পারে ভিডিও এডিটিং অ্যাপ।

 Video editing app 

আর এখন স্মার্টফোনের মাধ্যমে ভিডিও পাওয়ার পর আমাদের ভিডিও এডিট করার জন্য বিশেষ ট্রিপ করতে হবে না।  বর্তমানে স্মার্টফোনে ভিডিও এডিট করার জন্য গুগল প্লে স্টোরে বেশ কিছু অ্যাপ্লিকেশন রয়েছে।  কিন্তু আমরা অনেকেই বুঝতে পারি না কোন ভিডিও এডিটিং অ্যাপ্লিকেশনটি ডাউনলোড করার জন্য সঠিক কারণ অনেকগুলি বিকল্প রয়েছে।  তাই স্মার্টফোন ভিডিও এডিটিং-এর জন্য সেরা তিনটি অ্যাপ নিয়ে আমাদের প্রতিবেদন।  চলুন জেনে নিই সেরা ভিডিও এডিটিং অ্যাপের নাম।


সেরা তিনটি ভিডিও এডিটিং অ্যাপের নাম -

১. কাইনমাস্টার (Kinemaster)

KineMaster হলো একটি পূর্বাভাসিত ভিডিও এডিটিং অ্যাপ্লিকেশন, যা মোবাইল ডিভাইসে ব্যবহার করা যায়। এই অ্যাপটি ব্যবহারকারীদের ভিডিও সজ্জীবতা তৈরি করতে এবং সাধারিত ছবি এডিটিং সুবিধা প্রদান করতে সাহায্য করে।


কিনেমাস্টারের কিছু বৈশিষ্ট্যঃ


ভিডিও এডিটিং ভিডিও কাটছে, মার্জ করতে, ইফেক্ট যোগ করতে, সংগৃহীত করতে এবং ভিডিওর স্পীড পরিবর্তন করতে সহায় করে।


ছবি এডিটিং ছবি মোডিফাই করতে সহায় করে, যেমন ব্যাকগ্রাউন্ড বদলাতে, ফিল্টার যোগ করতে, রেটিও পরিবর্তন করতে।


লেয়ার বেসড এডিটিং বিভিন্ন লেয়ারে বা প্রান্তরে ভিডিও, ইমেজ, ওভারলে যোগ করতে সুযোগ দেয়।


সাউন্ড এডিটিং ভিডিওতে সাউন্ড সংযোজন করতে এবং সাউন্ড নিয়ন্ত্রণ করতে এবং অপর সহায়ক সংগীত যোগ করতে সুযোগ দেয়।


এই বৈশিষ্ট্যগুলি ব্যবহারকারীদের তাদের মিডিয়া সম্পাদনা এবং সাজানোর জন্য সুবিধা সরবরাহ করে।


প্লে স্টোরে উপলব্ধ ভিডিও এডিটিং অ্যাপগুলির মধ্যে এটি শীর্ষে রয়েছে।  এটি একটি খুব জনপ্রিয় অ্যাপ, 100 মিলিয়নেরও বেশি ডাউনলোড সহ!  ভিডিও সম্পাদনার জন্য উপযোগী বিভিন্ন বৈশিষ্ট্যে সমৃদ্ধ এই অ্যাপটির সাহায্যে ভিডিও সেগমেন্টগুলিকে দক্ষতার সাথে একত্রিত করা সম্ভব।  এটিতে অডিও মিক্সিংয়ের জন্য প্রয়োজনীয় বৈশিষ্ট্যগুলি ছাড়াও ব্লেন্ডিং মোড, ক্রোমা কীিং, তাত্ক্ষণিক সম্পাদনা পূর্বরূপ, একটি ক্লিপের মধ্যে সুনির্দিষ্ট ভলিউম নিয়ন্ত্রণ, গতি নিয়ন্ত্রণের মতো উন্নত বৈশিষ্ট্য রয়েছে।


2. ইনশট (InShot)

InShot একটি মোবাইল অ্যাপ, যা ভিডিও এডিটিং এবং ছবি সজ্জীবতা করার জন্য ব্যবহৃত হয়। এটি বিভিন্ন ফিল্টার, ইফেক্ট, এবং ট্রানজিশন সাপোর্ট করে এবং সহজে ব্যবহার করা যায় ভিডিও এডিটিং এর জন্য।


InShot এপ্লিকেশনটির বৈশিষ্ট্য হল -


ভিডিও এডিটিং

ভিডিও কাটছে, মার্জ করতে, ইফেক্ট যোগ করতে, সংগৃহীত করতে এবং ভিডিওর স্পীড পরিবর্তন করতে সহায় করে।


ছবি এডিটিং

ছবির মোডিফাই করতে সহায় করে, যেমন ব্যাকগ্রাউন্ড বদলাতে, ফিল্টার যোগ করতে, রেটিও পরিবর্তন করতে।


সাউন্ড এডিটিং

ভিডিওতে সাউন্ড সংযোজন করতে এবং ভিডিওর সাউন্ড নিয়ন্ত্রণ করতে এবং মিউজিক যোগ করতে সুযোগ দেয়।


ইন্টারফেস

একটি ব্যবহারকারী-বন্ধুত্বপূর্ণ এবং সহজ ইন্টারফেস দ্বারা চরম ব্যবহারকারী অভিজ্ঞতা সরবরাহ করে।


সামগ্রিক এডিটিং

পাঠ্য, স্টিকার, এবং অন্যান্য উপাদান সংযোজন করতে সুযোগ দেয় ভিডিও এবং ছবির সাথে।


এই বৈশিষ্ট্যগুলি একত্রে তৈরি করে একটি পূর্ণসংস্কৃত মোবাইল মিডিয়া এডিটিং সলিউশন।


ইনশট অ্যাপ্লিকেশনটি স্বজ্ঞাত ইন্টারফেসের উপস্থিতির কারণে অদ্বিতীয় যা মনের মতো ভিডিও তৈরি করার জন্য উপযুক্ত।  এর সবচেয়ে ইতিবাচক বৈশিষ্ট্যটি হল যে কেউ কোনও ওয়াটারমার্ক ছাড়াই ভিডিও সম্পাদনা করতে অ্যাপ্লিকেশনটি ব্যবহার করতে পারে।  এটিতে একটি খুব সহজ এবং মসৃণ উপায়ে ভিডিও আমদানির সুবিধা রয়েছে।  তাছাড়া, অ্যাপ ব্যবহারকারীরা এখানে একই সাথে ট্রিমিং এবং এডিটিং চালিয়ে যেতে পারেন।  মাল্টি ফ্রেম রেট বিকল্প সহ অসংখ্য ইন-হাউস মিউজিক ইফেক্ট ব্যবহার করে পেশাদার ভিডিও সম্পাদনা করা সম্ভব।


৩. ক্যাপকাট (CapCut)

CapCut হলো একটি মোবাইল ভিডিও এডিটিং অ্যাপ, যা তেজস্বী ইনকর্পোরেটেড দ্বারা তৈরি করা হয়েছে। এই অ্যাপটি ব্যবহারকারীদের ভিডিও সজ্জীবতা করতে এবং সাম্প্রতিক ছবি এডিটিং প্রযুক্তিতে মুখরিত হতে সাহায্য করে। CapCut-এ বিভিন্ন এডিটিং টুল এবং ইফেক্ট সহ বিশেষভাবে ডিজাইন করা হয়েছে যাতে ব্যবহারকারীরা তাদের সৃষ্টিকৃত মিডিয়া নির্মাণ করতে পারে।


CapCut এপ্লিকেশনের বৈশিষ্ট্যগুলি হল -

ভিডিও এডিটিং

ভিডিও কাটছে, মার্জ করতে, ইফেক্ট যোগ করতে, সংগৃহীত করতে, ভিডিওর স্পীড পরিবর্তন করতে এবং অন্যান্য সম্পাদনা সম্পর্কিত উপায়ে সহায় করে।


ছবি এডিটিং

ছবি সজ্জীবতা করতে সহায় করে, যেমন ব্যাকগ্রাউন্ড বদলাতে, ফিল্টার যোগ করতে, রেটিও পরিবর্তন করতে।


ইউজার-ফ্রেন্ডলি ইন্টারফেস

ব্যবহারকারী-বন্ধুত্বপূর্ণ এবং সহজ ইন্টারফেস দ্বারা চরম ব্যবহারকারী অভিজ্ঞতা সরবরাহ করে।


মিউজিক এডিটিং

ভিডিওতে সাউন্ড সংযোজন করতে এবং সাউন্ড নিয়ন্ত্রণ করতে সুযোগ দেয় এবং অপর সহায়ক সংগীত যোগ করতে পারে।


কমিউনিটি সংগঠন

CapCut ব্যবহারকারীদের মধ্যে মিডিয়া ভাগ করার জন্য একটি সম্প্রদায় প্ল্যাটফর্ম প্রদান করে।


এই বৈশিষ্ট্যগুলি ব্যবহারকারীদের তাদের ভিডিও এবং মিডিয়া সৃষ্টিতে একটি উপকারী স্থান প্রদান করতে সাহায্য করে।


CapCut এবং TikTok অ্যাপ্লিকেশন?


মিডিয়া সজ্জীবতা CapCut এবং TikTok উভয়ই ভিডিও এবং ছবি সজ্জীবতা করার জন্য ব্যবহার হয়।


সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম TikTok একটি পোপুলার সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম হিসেবে পরিচিত, যেখানে ব্যবহারকারীরা ছোট ভিডিও তৈরি করতে এবং তাদের ক্রিয়াকলাপ শেয়ার করতে পারে। CapCut তাদের তৈরি মিডিয়াকে সজ্জীবতা করার জন্য একটি সরবরাহ করা হতে পারে।


ভিডিও এডিটিং CapCut এবং TikTok উভয়ই ভিডিও এডিটিং টুল সরবরাহ করে যাতে ব্যবহারকারীরা তাদের মিডিয়া সম্পাদনা করতে পারে।


তাই, CapCut এবং TikTok উভয়ই মিডিয়া সজ্জীবতা এবং শেয়ার করার জন্য ব্যবহার হয়, তবে তাদের মূল উদ্দেশ্য একে অপর থেকে ভিন্ন। TikTok সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম হিসেবে অধিক পরিচিত, যেখানে ব্যবহারকারীরা ছোট ভিডিও শেয়ার করে এবং CapCut একটি ভিডিও এডিটিং টুল হিসেবে একে অপরকে সার্থক করে।


CapCut Android এবং iOS উভয়ের জন্য উপলব্ধ একটি বিনামূল্যের ভিডিও সম্পাদনা অ্যাপ।  এটি বেশ কিছু দরকারী সম্পাদনা বৈশিষ্ট্য অফার করে যা আপনাকে Instagram, TikTok এবং অন্যান্য প্ল্যাটফর্মে শেয়ার করার জন্য আপনার স্মার্টফোনে ভিডিও সম্পাদনা করতে দেয়।

Previous chapter Next chapter
No Comment
Add Comment
comment url