ইন্ডিয়ান মেডিকেল ভিসার জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র | indian medical visa process from bangladesh

 

আমরা বাংলাদেশীরা বিভিন্ন সময়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য ইন্ডিয়াতে যেতে চাই আর ইন্ডিয়াতে যাওয়ার জন্য আপনার কিন্তু প্রয়োজন পড়বে মেডিকেল ভিসার

কিভাবে আপনি বাংলাদেশ থেকে ইন্ডিয়ান মেডিকেল ভিসা নিবেন

আপনার কি কি ডকুমেন্ট প্রয়োজন পড়বে

কিভাবে আপনি ঘরে বসেই অনলাইনের মাধ্যমে ইন্ডিয়ান মেডিকেল ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন

কিভাবে ইন্ডিয়ান মেডিকেল ভিসার জন্য ঘরে বসে পেমেন্ট করবেন কত টাকা লাগবে

এটুজেট ধারণা দেওয়ার চেষ্টা করবো। আপনি খুব সহজেই নিজেই নিজের জন্য ইন্ডিয়ান মেডিকেল ভিসা করতে পারবেন

শুরুতে আপনাদেরকে জানাবো যে ইন্ডিয়ান মেডিকেল ভিসা করার জন্য আপনার কি কি ডকুমেন্ট প্রয়োজন

তারপর আপনাদেরকে বলবো কিভাবে অনলাইনের মাধ্যমে আবেদন করবেন

কিভাবে পেমেন্ট করবেন

কোথায় গিয়ে জমা দিবেন ইন্ডিয়ান মেডিকেল ভিসা ইন্ডিয়ান টুরিস্ট ভিসা এগুলো বিভিন্ন ধরনের ক্যাটাগরি থাকে প্রত্যেকটা ক্যাটাগরির জন্য কমন কিছু ডকুমেন্ট লাগে তার পাশাপাশি স্পেশাল কিছু ডকুমেন্ট লাগে যেমন মেডিকেল ভিসা করতে চান

তাহলে কমেন্টে ডকুমেন্টগুলো লাগবে সেই সাথে মেডিকেলের জন্য যে ডকুমেন্টগুলো লাগবে।

আপনাদেরকে জানানোর চেষ্টা করতেছি আপনার যে ডকুমেন্টগুলো লাগবে

তার ভিতর এক নম্বর ডকুমেন্ট পাসপোর্ট এবং পাসপোর্ট এর মেয়াদ থাকতে হবে ছয় মাসের বেশি তার মানে আপনার পাসপোর্ট থাকতে হবে এবং আপনার পাসপোর্ট এর মেয়াদ ছয় মাসের বেশি থাকতে হবে সেকেন্ড আপনার প্রয়োজন পড়বে

সাইজের ২ কপি ছবি ব্যাকগ্রাউন্ড সাদা থাকবে অবশ্যই সেই সাথে খেয়াল রাখবেন আপনার কান গুলো যেন দেখা যায় আপনার চোখে যেন কোন সানগ্লাস না থাকি আপনার মাথায় যেন কোন টুপি না তাকে মহিলাদের ক্ষেত্রে অবশ্যই ছবি তোলার সময় নিজেদের করে রাখবেন মাথার চুল গুলো বের করে রাখবেন যদি আপনি বোরকা পড়ে বা হিজাব পরে যদি ছবি উঠান আপনার চোখ কান এগুলো যদি ঠিকঠাক মত না দেখা যায় তাহলে কিন্তু আপনার ভিসা রিজেক্ট হতে পারে

আপনি বিছানা পেতে পারেন এবং এই ছবি কিন্তু অনেক সময় বিচারের কারণে তিন নাম্বার আপনার প্রয়োজন পড়বে

আপনার ব্যাংক সলভেন্সি সার্টিফিকেট তার মানে যে ব্যাংকে আপনার অ্যাকাউন্ট রয়েছে সেই ব্যাংক এ গিয়ে আপনি তাদেরকে বলবেন একটা সলভেন্সি সার্টিফিকেট দিতে তারা আপনাকে একটা সলভেন্সি সার্টিফিকেট দেবে সেই সাথে আপনার লাস্ট ৬ মাস ব্যাংক স্টেটমেন্ট রয়েছে

সে লাস্ট ৬ মাসের ব্যাংক স্টেটমেন্ট এর প্রয়োজন পড়বে

এরপর আপনার প্রয়োজন পড়বে যদি আপনি সরকারি চাকুরিজীবি থাকেন তাহলে আপনার অফিস থেকে এনওসি নিতে হবে এবং যদি আপনি প্রাইভেট সার্ভিস হোল্ডার থাকেন

তাহলে আপনার অফিসের পেটে আপনার ছাড়পত্র একটা প্রত্যয়নপত্র নিতে হবে

আপনি যদি রাজি থাকেন তাহলে আপনার ট্রেড লাইসেন্স রয়েছে সেই ট্রেড লাইসেন্সের নবায়ন ফি লাগবে

এরপর আপনার প্রয়োজন হবে যদি আপনি ব্যাবসায়ি থাকেন তাহলে আপনার ভিজিটিং কার্ডের প্রয়োজন পড়বে এরপর আপনার প্রয়োজন পড়বে যদি এর আগে আপনি ইন্ডিয়া ভিজিট করে থাকেন তাহলে আপনি যে ইন্ডিয়াতে গিয়েছিলেন সে ইন্ডিয়ার ভিসার হয়েছে সে বিচার পপি একটা ফটোকপি সেটার প্রয়োজন পড়বে বাচ্চাদের ক্ষেত্রে বাচ্চাদের জন্ম নিবন্ধন কার্ড এবং যদি স্কুলে পড়ে থাকে তাহলে স্কুলের যে আইডি কার্ড রয়েছে

সেই আইডি কার্ডের প্রয়োজন পড়বে স্টুডেন্ট রয়েছেন তাদের ক্ষেত্রে স্টুডেন্ট আইডি কার্ড সেই সাথে যে বিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেন সে বিদ্যালয় প্রদানের কাছ থেকে একটা ছাড়পত্র বা প্রত্যয়ন পত্র এবং বাবা-মায়ের যে ব্যাংক স্টেটমেন্ট এর কপি আপনার প্রয়োজন পড়বে

আপনার জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপির

এরপর প্রয়োজন পড়বে সেটা হতে পারে বিদ্যুৎ বিল হতে পারে সেটা টেলিফোন বিল যেখানে আপনার এড্রেস উল্লেখ থাকবে আপনার প্রয়োজন পড়বে

পুলিশের ভ্যাকসিনের সনদপত্রের কথা বললাম এই ১১ ডকুমেন্ট প্রত্যেকটা ভিসার ক্ষেত্রে প্রয়োজন পড়ে

তবে যদি আপনি মেডিকেল ভিসা করেন তাহলে এই ডকুমেন্টগুলো সাথে আপনাকে আরও কিছু অ্যাডিশনাল ডকুমেন্ট যোগ করতে হবে তার ভিতরে হল মেডিকেল ইনভাইটেশন লেটার তার মানে আপনি যদি ইন্ডিয়াতে ডাক্তার দেখাতে যেতে চান তাহলে যে হসপিটালে যাবেন হসপিটালে থেকে আপনাকে একটা ইনভাইটেশন লেটার নিতে হবে এটা আপনি যে হাসপাতালে যাবেন সে হাসপাতালে ওয়েবসাইটের মাধ্যমে তাদের সাথে কন্টাক্ট করলেই

তারা আপনাকে একটা ইনভাইটেশন লেটার দেবে অথবা আপনি যে ইন্ডিয়াতে ডাক্তার এপয়েন্টমেন্ট নিয়েছেন ডাটাবেজে প্রমাণও রয়েছে সেই প্রমাণপত্র টি আপনাকে সাপোর্ট করতে হবে এই ডকুমেন্টগুলো সাথে সাথে মেডিকেল পেপার এর আগে যে মেডিকেলের পেপারস গুলো রয়েছে

আপনার সহ ডাক্তারের প্রয়োজন পড়বে সেই সাথে যদি ডক্টরের এডভাইস লেটার থাকে সেটাও আপনি দিয়ে দিবেন আর আপনার কাছে যদি ট্রান্সলেটর না থাকে তাহলে যে কোন একটা ডক্টরের কাছে মা-বাবা বাংলাদেশ যেটা দেখাচ্ছেন

আপনি সেই ডাক্তারের কাছ থেকে আপনি একটা এডভাইস লেটার নিয়ে নিবেন এবার আসি কতদিন সময় লাগতে পারে সাধারণত ইন্ডিয়ান মেডিকেল ভিসা কিন্তু ইমারজেন্সিতে নেওয়া যায়

এটার জন্য সর্বোচ্চ ১৫ কর্মদিবস সময় লাগতে পারে তবে সেটা নির্ভর করে আপনার ইমারজেন্সি এর উপরে আপনি কিভাবে আপনার ডকুমেন্টগুলো সাবমিট করবেন তাদের কাছে সেটার উপর নির্ভর করবে

আপনার ভিসা এবং আপনাদেরকে জানাই এই সকল ডকুমেন্ট গুলো যদি আপনার কাছে থাকে তাহলে আপনি কিভাবে ইন্ডিয়ান মেডিকেল ভিসার জন্য আবেদন করবেন

ইন্ডিয়ান মেডিকেল ভিসার জন্য আপনি ঘরে বসেই অনলাইনে মোবাইল ফোন কিংবা কম্পিউটার মাধ্যমে আবেদন করতে পারবেন 

আপনি চাইলে ঘরে বসেই বিকাশ রকেট বা বাংলাদেশ মোবাইল ব্যাংকিং সার্ভিসের মাধ্যমে কিন্তু এই ইন্ডিয়ান মেডিকেল ভিসার জন্য পেমেন্ট করতে পারবেন

এবার এপ্লিকেশন করার পর পেমেন্ট করার পর আপনার যে পিকেশন ফ্রম রয়েছে সে প্রতিদান ফরমের সাথে যে ডকুমেন্টগুলো কথা বললাম এই ডকুমেন্টগুলো সাথে নিয়ে আপনি চলে যাবেন ইন্ডিয়ান ভিসা এপ্লিকেশন সেন্টার ইন্ডিয়ান ভিসা এপ্লিকেশন সেন্টার ইন্ডিয়ান ভিসা এপ্লিকেশন সেন্টার আপনি আপনার ডকুমেন্টগুলো জমা দিয়ে আসবেন ফিঙ্গারপ্রিন্ট দিয়ে ছবি তুলবেন এরপর আপনাকে একটা স্লিপ দেওয়া হবে

আপনি কিন্তু আপনার ইন্ডিয়ান মেডিকেল ভিসা নিয়ে নিতে পারবেন অ্যাপ্লিকেশনস সাবমিট করার পর কিভাবে আপনি জানতে পারবেন

যে পাসপোর্ট ভিসা লেগেছে কিনা এটা চেক করার জন্য একটা অনলাইন প্রসেস রয়েছে। ইন্ডিয়ান মেডিকেল ভিসা প্রসেস এবং ইন্ডিয়ান মেডিকেল ভিসা পেতে কি কি ডকুমেন্ট লাগবে আশা করি আপনারা বুঝতে পেরেছেন। 

Previous chapter Next chapter
No Comment
Add Comment
comment url