রোজা ইসলামী শিক্ষামূলক কথা - ইমাম সাহেব
রমজান মাস-
ইসলামিক শিক্ষা |
এক বাড়িতে ইফতার করতে এসে ইমাম সাহেব টাকা চুরি করেছে। গল্পটা শুনেছেন এক গ্রাম ছোট্ট একটা মসজিদ বানানো হলো। তারপরে মসজিদ অনুসারে যোগ্য ঈমান নিয়োগ দেয়া হলো। আর কিছুদিন পর রোজার মাস। রোজার মাস চলে আসলো। সকল কমিটির মিলে সিদ্ধান্ত নিল ইমাম সাহেবএকেক দিন একেক বাড়িতেইফতার করবে। পরে রোজা শুরু হয়ে গেল। তারপর ইমাম সাহেব একেক দিন একেক বাড়িতে সিরিয়াল অনুসারে ইফতার করতে লাগলো। এভাবে একদিন সিরিয়াল এক বাড়িতে থেকে দাওয়াত দেওয়া গেল। ইমাম সাহেবও সময় মত এই বাড়িতে চলে গেলেন। এ বাড়িতে গিয়ে দেখলেন। স্বামী স্ত্রী মিলে ইফতারের বানাচ্ছে। স্ত্রীকে ইফতার বানাতে সাহায্য করছে স্বামী। লোকটা হুজুরকে দেখে বললহুজুর ঘরে গিয়ে বসুন। আর একটু কাজ আছে। আমরা শেষ করি আসতাছি। হুজুরকে তখন রুম দেখিয়ে দিলেন। হুজুর সে রুমে গিয়ে বসলো। তারপরে তাদের ইফতার বানানো শেষ। আজান দিয়ে ফেলল। হুজুর ইফতার করল ইফতার করার পর। হুজুর খুশিমনে সেখান থেকে বিদায় নিয়ে চলে আসলো। হুজুর চলে আসার পরে বাড়ির মহিলা ক্যাল করল। তাদের বিচারের পাশে কিছু টাকা রাখা ছিল। টাকাগুলো আর পাওয়া যাচ্ছে না। এ বাড়িতে হুজুর ছাড়া তো আর কেউ আসে নাই। অনেক কুঁঝাকুজি করার পর। পড়েও টাকাটা আর পাওয়া গেল না। তারা ধরে নিল যে টাকাটা হুজুরে নিয়েছে। মসজিদের ইমাম সাহেব টাকা চুরি করেছে।এই কথাটা ভাবতি তারা দুজনে অবাক হয়ে গেল। স্বাভাবিক এরপর থেকে তারা আর ঈমান সাহেব কে সম্মান দিতে পারছে না। লজ্জায় কাউকে বলতেও পারছি না। কি করে বলবি ইমাম সাহেব টাকা চুরি করেছে। এটা কি কাউকে বলা যায়। যে ইমাম সাহেবকে সব্বাই এত সম্মান করে। সব্বাই তার পিছনে নামাজ পড়েআর ইমাম সাহেবের নাকি সামান্য টাকার লোভই সামলাতে পারল না। এরপর থেকে ভদ্রলোক ইমাম সাহেবকে এড়িয়ে চলতে তেন। আগে দেখা হলেই সালাম দিতেন। আর এখন দেখা হলে অন্য দিক দিয়ে চলে যায়। সালাম তো দূরের কথা। মসজিদে নামাজ পড়তে গেলে পিছন দিকে নামাজ পড়ি চুপচাপ চলে আসি। কোনো ইমাম সাহেবের মুখোমুখি হয় না। আর অন্তরে ইমাম সাহেবের প্রতি প্রচুর ঘৃণা জন্মেছিল। এভাবে চলতে চলতে একটি বছর কেটে গেল। আবারো রমজান মাস এসে গেল। এবারও মসজিদ কমিটিরা ঠিক করল। ইমাম সাহেব একেক দিন একে বাড়িতে খাবে। ও ইফতার করবে। সিরিয়াল অনুযায়ী। হিসাবে ইফতার করতে করতে আবারো ইমাম সাহেব সেই বাড়িতে ইফতারি সিরিয়াল পড়ে গেল। স্বামী স্ত্রী কিছুতে মেনে নিতে পারছি না। একজন চোর ঈমানকে বাড়িতে এনে সসম্মানে ইফতার করাতে হবে। এটা তারা ভাবতেই পারছে না। সমাজকে আবার কি বলবে। সিরিয়াল অনুযায়ী আজকে তাদের বাড়িতে ইমাম সাহেব ইফতার। গত বছরে সাহেব টাকা চুরি করেছে। এটাতো লজ্জায় কাউকে বলতে পারছিনা। এখন কি করা যায়। তখন তার স্ত্রী অনেক ভেবে তার স্বামীকে অনুরোধ করে বলল। যা হয়েছে ভুলে যাও। ইমাম সাহেব হয়তো টাকার খুব দরকার ছিল। তাই টাকাটা নিয়েছিল। একজন ইমাম সাহেব হলে আমার মনে হয়নি তো না। স্ত্রীর কথা শুনে মান সম্মানের কথা চিন্তা করে। লোকটা গিয়ে ইমাম সাহেবকে দাওয়াত করে আসলো। ইমাম সাহেব সময়মতো ইফতারের দাওয়াত খাওয়ার জন্য চলে আসলো। ইমাম সাহেব বুঝতে পারছিল যে। ভদ্রলোক কিছুই শান্তি পাচ্ছে না।ইমাম সাহেব ইফতার শেষ করার পরে। ভদ্রলোককে বলেন আচ্ছা আপনার কি কোনো প্রবলেম হয়েছে। আমার মনে হচ্ছে আপনি একটি বড় চিন্তার মধ্যে আছেন। লোকটা তো সহ্য না করতে পেরে বলেই ফেলল। আপনি যে গত বছর আমাদের আমাদের বাড়িতে ইফতার করতে এসেছিলেন। সেটা কি আপনার মনে আছেইমাম সাহেব বলল হ্যাঁ। মনে আছে। ভদ্রলোক বলল দুজন ইফতার বানাতে কাজে ব্যস্ত ছিলাম। আপনি আমাদের ঘরে ছিলেন। আপনি যেখানে বসে ছিলেন তার পাশে কিছু টাকা রাকা ছিল। আপনি চলে যাওয়ার পর এই টাকাটা অনেক খোঁজাখুঁজি করেছি কিন্তু খুঁজে পাই নাই। আমি নিশ্চিত সেদিন আপনি নিয়েছিলেন। আপনার টাকায় এতই প্রয়োজন ছিল এটা আমাদের বলতেই পারতেন। একজন ইমাম সাহেব হয়ে একজন সম্মানী মানুষ হয়ে। কি করে আপনি সামান্য টাকা গুলো চুরি করে ফেললেন। লোকটার মুখে এমন কথা শুনে ইমাম সাহেব চোখে পানি এসে গেল। ইমাম সাহেব তখন বলল হ্যাঁ। সেই টাকাটা আমি নিয়েছিলাম। ইমাম সাহেবের মুখে চুরির কথা স্বীকার করা। স্বামী স্ত্রী দুজনই অবাক হয়ে গেল। ইমাম সাহেব তখন কান্না করতে করতে আমি এখানে বসে ছিলাম। আমার পাশেই কিছু টাকা রাখা ছিল। হঠাৎ জানালা দিয়ে বাতাস এসে। টাকাগুলো ওদিক-সেদিক হয়ে যায়। তারপরে একটা একটা করে টাকাগুলো হাতে নেই। আপনাদেরকে দেওয়ার জন্য অপেক্ষা তাকি। পরে সামনে আমি কুরআন দেখতে পাই। সেই টাকাগুলো কোরআনের ভিতরে রেখে দেই যাতে। পরবর্তীতে আপনারা নিয়ে নিতে পারেন।আমিও যাওয়ার সময় বলে দিতে ছিলাম। তখন আমার খেয়াল ছিল না। আর বলতে পারিনি। ঈমান সাহেব তখন কাঁদতে কাঁদতে বললেন। আপনারা টাকাটা খুঁজে পাননি। এতদিনে কেন আমাকে বলেননিস্ত্রী তখন কুরআনে প্রথম পৃষ্ঠা উল্টাতে গিয়ে দেখে টাকাগুলো কুরআনের মধ্যেই আছে। ভদ্রলোক তখন হুজুরকে হাত জোর করে বললেন। আমাদেরকে মাফ করে দিন। আমরা আপনার চোর বলেছি। আমরা আপনাকে কষ্ট দিয়েছি। দয়া করে আর কান্না করবেন না। হুজুর তখন বললেন আপনি আমাকে চোর বলেছেন। এর জন্য আমি কান্না করছি না। আমি কান্না করছি। কারণ এক বছরের মধ্যে আপনারা কুরআন টা খুলেও দেখেননি। একটু পরে দেখেননি। কুরআনের সাথে আপনাদের কোনো সম্পর্ক নেই। যদি কুরআনের সাথে আপনারা সম্পর্ক রাখতেন। তাহলে টাকাটা অনেক আগেই পেয়ে যেতেন। আফসোস এক বছর আগে আমি কুরআনটা যেখানে দেখে গেছি এখনো সেখানেই আছে। হয়তো একটু ময়লা পরিষ্কার করার জন্যএটাকে ধরা হয়নি। মোবাইল টিভি দেখে কত সময় পার করে দিচ্ছি আমরা। অথচ কুরআন কিছুই দেখা প্রয়োজন মনে করি না। যারা পড়েছেন কাছে অনুরোধ রইলো। মা বোন কে পড়ে শুনাবেন। রমজান মাসে দয়া করে হলেও কোরআনটা পড়বেন। তাই কোরআনের সাথে সম্পর্ক করব। |
🥰🥰
☺️☺️