পালিয়ে বিয়ে করা গল্প এবং ভালোবাসার জন্য মৃত্যু

 


লেডিস পার্লারে পুরুষদের দোকান নিষেধ। এদিন আমাকে ঢোকার অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। দেয়ার কারণ একটাই আমার স্ত্রী শ্রাবণী নাকি পাশের বাড়ির ভাবি বলেছে বিয়ের পর নাকফুল না পরে তাহলে স্বামী অমঙ্গল হয়।

তাই সে আমার অমঙ্গল কথা চিন্তা করে পার্লারে চলে এসেছে। নাকফুল বসানোর জন্য আমাদের দেশের কালচার অনুচার শুধু আমাদের দেশের মেয়েরা ছোটবেলায় নাকফুল ব্যবহার করে।

শ্রাবন্তী করিনি। তুই কি সেই ছুইকে অনেক ভয় পাইতো। পার্লারের মেয়ে ওর নাক ফুটা করতে যাই। তখন সে চিৎকার পার্লার মাথায় তুলে ফেলে। পর আমাকে ঢুকার অনুমতি দেয়া হয়েছিল। কাচ্চি দেওয়ার জন্য তাকে ধরার জন্য আমি পার্লার  ভিতরে যাওয়ার সাথে সাথে আমার স্ত্রী আমাকে বলতাছে সিদ্ধ করতে গিয়ে যদি আমি মারা যায় তাহলে তুমি কিন্তু

দ্বিতীয় বিয়ে কইরো না


তুমি যদি বিয়ে কর তখন আমি ভূত হয়ে তোমার ঘাড় মটকাবো। আর এমন কথা শুনে পার্লারে মানুষ হেসে বলল প্রেমের বিয়ে নাকি আমি তখন মাথার চুলকাতে বললাম হ্যাঁ। দুই বছর কেটে গেল শ্রাবণী এখন হসপিটাল হাতটা ধরে আমি বসে আছি লোকটা বের হয়ে গেছে চোখ দিয়ে পানি পড়ছে ঠোঁটের কোন কাজে মিসটেকটি হাসি লুকিয়ে আছে পরে আমি তার চেহারা দিকে তাকিয়ে অবাক হচ্ছি।

একটা সামান্য যতই সহ্য করতে পারত না। আর এখন কত ব্যাথা সহ্য করতাছে হাসিমুখী মেনে নিয়েছে মাতৃত্ব আসলে অদ্ভুত এক জিনিস মা হতে হলে কতটা কষ্টে করতে হয় পরিবর্তন হতে পারে তা আমি শ্রাবনীকে না দেখলে বুঝতেই পারতাম না একটু ময়লা দেখলেই ছি ছি করতো। সন্তানের প্রসাব পায়খানা ছাপ করছে এই মেয়েটার গায়ে সামান্য একটু ময়লা লাগলে পরিষ্কার করত সেই মেয়েটারা আজও কাপড় সারাদিন বেঁচে থাকে। সন্তানের পেশাবে একদিন বুকের উপর বসিয়ে রেখেছিলাম এ সময় কাল করলাম কন্ঠ কি যেন বলতে চাইতাছে।

 আমি ভালোভাবে খেয়াল করে দেখলাম। কন্ঠে বাবাই বলতে চাচ্ছে। আমি সহজে কাঁদি না। কি কষ্ট পেলো আমি কাঁদি না কোটা জল পর্যন্ত পড়তে দেয় না আজ গড়িয়ে পড়লো পানি। আমার মেয়েকে দূরে আমি একদম জড়িয়ে কেঁদে ফেল।

পর যখন তার শরীরে ইন্ডিয়েশন দিতে চেয়েছিল তখন আমার মনে হচ্ছিল যেন কেউ কলিজার যুদ্ধ করে ফেলছে ছোট্ট মেয়েটা যখন রাতে হা করি ঘুমিয়ে থাকে। এখন আমি আমার মুখটা তার মুখের সামনে নেই গরম আমাকে পৃথিবীর সবচেয়ে সুখী মানুষ মনে হয় তুমি যদি অসুস্থ থাকে তাহলে আমায় সারাদিন।

রাজ ঘুমাতে পারি না চিন্তা করতি আমি আমার মেয়েকে কুলে নিয়ে বসে আছি অবনী ঘুমাচ্ছে ঠিক সময় সেই সময় এখন আমি মনে মনে ভাবতে লাগলাম লাবনীর বাবা তো একটা সময় কেরকম ভালবাস।

মেয়েকে আমি যেমনটা ভালোবাসি


মেয়েটা একদিন বড়ই হুট করে একটি অচেনা ছেলেটিকে আমার সামনে এসে বলে আমি ওকে ভালবাসি কখনো মেনে নিব না কোনিনা তখন যদি আমার মেয়েটা কি ইমোশনাল ব্যাংক মেইল করে ছেলেটা আমার কাছ থেকে ছিনিয়ে নেই তখন আমার কেমন লাগবে আমার কতটা কষ্ট হবে আমি আর ভাবতে পারছি না।

একি মুহূর্তে আমাকে পৃথিবীতে সবচেয়ে সবচেয়ে বড় খারাপ মানুষ তুই মনে হবে চার বছর আগে আমিও এভাবেই শ্রাবন্তীকে মিলিয়ে ছিলাম আমি মেয়ের বাবা হওয়ার পরে বুঝতে পারলাম। ওটা ভুল করেছিলাম কথাটা কষ্ট হলেও কষ্ট দিয়েছি শ্রাবনীর মা-বাবাকে আর যখন পাঁচটা বাজে মনে কি ঘুম থেকে ডেকে বললাম তাড়াতাড়ি উঠে এবং রেডি হয়ে নাও

সকলে কোথায় যাব আমি তখন বললাম মন মুন্সি যেতে হবে দিকে রাব দিয়ে বলল ওখানে কেন যেতে হবে তখন বললাম তোমাদের বাড়িতে কোন অবাক হয়ে বলল আমাদের উপদেষ্ট ডেকে আছে তখন বললাম বাবা পায়ে ধরে বলব বাবা মাফ করে দেন।


গল্প নাম্বার দুই -


বন্ধু লাশ নিয়ে অ্যাম্বুলেন্স তার গ্রামের বাড়িতে যাচ্ছি। রাত তখন সাড়ে বারোটা বাজে বন্ধুর বাড়ি অনেক দূরে হয় সময় কাটছিল না মনটা অনেক খারাপ ছিল।

 তাই সময় কাটানোর জন্য পকেট থেকে মোবাইলটা বের করলাম। তখন সেই মুহূর্তে আমার ফোনে একটা মেসেজ এল আমার সামনে আমার বন্ধু কফিনের ভিতর লাস্ট হয়ে ঘুমিয়ে আছে। এই মুহূর্তে মেসেজ মেসেজ করলো কঙ্কনা।

এই নাম্বার থেকে দশ বারোটা মেসেজ এসেছে


সম্ভবত আনলিমিটেড মেসেজ কারণে ভেঙ্গে দেখতে লাগলাম আমি সেই মেসেজটা পড়তে লাগলাম। তিনি এভাবে লিখেছেন রাব্বি আমাকে মাফ করে দিও এ বাবা চোখের দিকে তাকিয়ে দিন কথা বলতে পারি নাই। হে বাবা দুই হাত ধরে সামনে অসহায় মত কান্না করেছিল এখন তার ভালোবাসার কাছে। তোমার আর আমার ভালবাসা হেরে গেছে। তাই আজ ১১ দিন যাবত অন্য কারোর স্ত্রী।

কথা দিয়েছিলাম জীবনের শেষ দিন নিঃশ্বাসে তোমার সাথেই থাকবো। আমার সব সময় বই হত তুমি তুমি আমাকে কষ্ট দিবে। সব সময় বই হইত অন্য কাউকে বিয়ে করবেকিন্তু আজ দেখো। আমি তোমাকে কষ্ট দিলাম আমি তোমাকে ছেড়ে অন্য কাউকে বিয়ে করি। জীবন কি অদ্ভুত তাই না মনে আছে আমি কাঁদতে কাঁদতে বলতাম আমাকে কখনো ছেড়ে যাবে না হাসতে হাসতে বলতা পাগলি তোমাকে কখন যাব না।

তখন আমি ভীষণ রাগ করতাম। আমি তোমাকে পাগলের মত ভালবাসতাম। এমন একটা পৃথিবী আমি কখনো কল্পনা করি নাই ও কেউ আমার স্বামী আর সাথে ঘুমাতে হয়। থেকে উঠে তার মুখ দেখতে হয়।

মানুষের জীবনে এমন কেন হয় যাকে চাই তাকে পাই না কেন কে যাইতে চায় তা কি যেন পাই এদিক তাতে কি আসে যায় কেন মানুষকে কাঁদায়। করি আমার বিয়ে ঠিক হয়ে যায় ইচ্ছা করি তোমার সাথে যোগাযোগ বন্ধ করে দিয়েছি। নাম্বারটাও বন্ধ করে দিয়েছিলাম ফেসবুক আইডিটাও ডিলিট করে দিয়েছিলাম কষ্ট পেয়েছো তাও আমি জানি যার সাথে সারাটা জীবন সুখে থাকতে হবে ওকে আমি হারিয়ে ফেলেছি এটা পরিবারের ইচ্ছাতেই হয়েছে।

সবাইকে অনেক খুশি স্বামীর মানুষটা অনেক ভালো কোন পর্যন্ত ভালো ভবিষ্যতে এখনো বলতে পারিনা তাকে প্রথম দেখা দিনটা আমি আছি ছিল আমাদের প্রথম দেখা। তাই হয়ে গেল আমাদের শেষ দেখা। মানুষের চিন্তার বাইরে কত কিছু বটে তাই না।

তুমি আর আমি তোমার সাথে তিন ঘন্টা কাটিয়েছিলাম কেউ কারো হার্ট টাই স্পর্জন করতে পারিনি তুমি আমাকে রিক্সায় চলে দিলি কর তুমি আমার হাতটা ধরে ছিলে। তোমার আর আমার প্রথম। বিশ্বাস কর আমাকে ছাড়তে আমার ইচ্ছা করেনি কিন্তু রিক্স কাটা দিল তখনথাকতে বাধ্য হয়েছিলাম। দিলাম তোমায় আমি ছেড়ে দিলাম ভালোবাসা নদী শাড়ি কিনে রেখেছি।

 কিন্তু আমি তোমার না ওই শাড়িটা কি এখনো আছে যখন শাড়ি পছন্দ তখন তখন আমার জন্য শাড়ি কিনে রাখতে বলেছিলাম বিয়ের পরে সবগুলো তুমি পড়বে আমি বিবাহিত কিন্তু স্বপ্ন আমি কখনোই দেখিনি।

আমার নিজের পছন্দ একটা মেয়েকে বিয়ে করে নিও। শাড়িগুলো তাকে উপকার দিয়ে কত খুশি হয় হয়তো তুমি জানো না বউকে যখন শাড়ি দিবে দিবে তখন সে আনন্দ দিতে হবে। সাথী আমার অনলাইনে পরিচিত হয়েছিল জীবনে আর অনলাইনে আসবো না।

নাম্বারটাও ফেলে দিব হয়তো আমাদের আর কোনদিন কথা হবে না কাছে আমার একটা অনুরোধ। কোনদিন আমার সামনে এসো না। যত্ন নিও জীবন কিন্তু একটাই ভালো থেকো ভালোবাসাআমি ভালো নেই। আপনার মেসেজ গুলো পড়লাম সামনে কফিনের মধ্যে আমার বন্ধু রিফাত ঘুমিয়ে আছি পাঁচ দিন যোগাযোগ করিনি
Previous chapter Next chapter
6 Comments
  • Niloy Marjan
    Niloy Marjan March 25, 2023 at 2:58 AM

    ☺️☺️

  • Nkoffical
    Nkoffical March 25, 2023 at 3:00 AM

    😔😔

  • Nkoffical
    Nkoffical March 25, 2023 at 3:00 AM

    💔💔

  • Nkoffical
    Nkoffical March 25, 2023 at 3:00 AM

    😭😭

  • Anonymous
    Anonymous March 25, 2023 at 3:01 AM

    🥰🥰

  • Anonymous
    Anonymous March 25, 2023 at 3:01 AM

    😔😔

Add Comment
comment url