বউয়ের জ্বালা কত প্রকার ও কি কি?
বউয়ের জ্বালা
অফিস শেষ করে। বাসায় এসে দেখি। আমার বউ পাশের বাড়ির ভাবির সাথে আনন্দের সাথে গল্প করতেছে। আলাপ চালাব আমার বউ ভাবি কে বলছে ভাবি আপনি আগের থেকে অনেক অনেক সুন্দর হয়ে গেছেন।
আমার বউয়ের মুখে এমন প্রশংসা শুনে
সে ভাবি অনেক খুশি হলো। তাই আমি মনে মনে ভাবলাম আমি একটু প্রশংসা করি। তখন আমি বললাম সত্যিই তো ভাবি আপনি তো আগের থেকে অনেক সুন্দর হয়ে গেছেন। কথা বলার সাথে সাথে আমার বউ আমার দিকে যেভাবে তাকিয়ে ছিল। তখন আমি বুঝে ফেলেছিলাম আজকে হয়তো।
অনেক বড় অন্যায় করে ফেলেছি। যখন ভাবি আমাদের রুম থেকে চলে গেল। ঠিক তখনি আমার বউ রান্নাঘরে গিয়ে কুন্তি চোখের মধ্যে ধরে বলল। চোখ দিয়ে তোর ভাবিকে সুন্দর লাগে। আজকে সেই চোখ আমি গালিয়ে ফেলবো। তখনই আমার বউয়ের মুখে তাকিয়ে দেখলাম। আমার কিউট বউটা আর আজরাইল মতো দেখা যাচ্ছে দেখে মনে হচ্ছিল। আমাকে এখন মেরেই ফেলবে তারপরে চিৎকার করে বলল।
কালকার মধ্যে বাসা চেঞ্জ করবি
বাসায় কালকের মধ্যে থাকবো না। তখন আমি ভয় পেয়ে বাসা চেঞ্জ স্বীকার করে ফেলেছি। তখন আমার না বলার কোনো উপায় ছিল না না। বললে হইত আমার চোখ দুটি গালিয়ে ফেলতো শুধুমাত্র মজা করে। ভাবিকে একটু সুন্দর বলার কারনে বাসাটা চেঞ্জ করতে হচ্ছে আগে। আমি জানতাম না জানলে এমন পাপের কাজ। আমি করতাম না যাই হোক পরের দিনও অফিস শেষ করে।
বাসা খুঁজতে বের হলাম অনেক খোঁজাখুঁজি করার পর। একটা বাসাও খুঁজে পেয়ে গেলাম যে অঞ্চলে বাসা পেয়েছি আমার বউয়ের পছন্দ না।
তারপরেও তাকে বুঝিয়ে শুনি রাজি করালাম। তারপরে দিন অফিস ছুটি নিয়ে সারাদিন কষ্ট করে। বাসা চেঞ্জ করলাম পুরনো বাসা থেকে নতুন বাসা একটু ভালো হয় আমার বউ পছন্দ করলো কোনো সমস্যা হলো না।
তারপরের দিন সকাল বেলা সেখান থেকে অফিসে চলে গেলাম নতুন বাসায় প্রথম দিন তাই একটু আগেই বাসায় চলে আসলাম। বাসায় এসে দেখি দরজার মধ্যে তালা দেওয়া বিষয়টা দেখে আমি অবাক হয়ে গেলাম। আবার কিছুটা ভয়ও পেলাম আমার কাছে এক্সট্রা চাবি ছিল সেই চাবি দিয়ে তারা কোলে ঘরের ভিতরে প্রবেশ করলাম
ঘরের ভিতরে ঢুকিয়ে দেখি একটা চিরকুট রাখা
মনটার লেখা ছিল আমি তোর ঘর ছেড়ে একেবারে চলে যাচ্ছি। এত খারাপ হয়ে গেছিস তা আমি জানতাম না। এ পাশের বাসায় ভাবি আরো সুন্দর তার স্বামী ও বিদেশ থাকে তোর জন্য আরও অসুবিধা হয়েছে। তাইতো বলি আমি এদিকে আসতে চাইনি। তারপরেও আমাকে নিয়ে আসার জন্য। এত আলরাতে কেন? বিষয়টা আজ আমি বুঝতে পেরেছি। তুই তোর ভাবীকে নিয়েই থাক। আমার সাথে আর যোগাযোগ করার চেষ্টা করবি না। তবে বিশ্বাস কর। পাশের বাসায় ভাবীর বাসা আছে। তা আমি জানতাম না। জানলে এই ভুল আমি জীবনে করতাম না।
যাইহোক তাকে আমি ফোন দিলাম ফোন বন্ধ। তারপর আমি চলে গেলাম শ্বশুরবাড়িতে সেখানে যাওয়ার পর। আমাকে দেখে এমন ভাবে চিৎকার করতে লাগলো। নতুন একটা বিয়ে করে ফেলেছি l তখন আমার শাশুড়ি আমাকে বলল। তুমি তো ওকে চিনো। কতটা জিদি। অন্যরকম কিছু করে ফেলবো। তুমি আজকে যাও তাকে আমি বুঝিয়ে শুনিয়ে।
তোমার কাছে পাঠিয়ে দিব। তারপরে আর কি করার তারপরে চলে আসলাম। মনে মনে ভাবতে লাগলাম জীবনের আমাকে কখনো সে সন্দেহ করেনি। আজকে একটু সুন্দর বলার কারনে। আমার লাইফটাই এলোমেলো হয়ে গেল।
বিনা কারণেও আমাকে সন্দেহ করা শুরু করল। রেল লাইন কাজ দিয়ে হেটেছে যাচ্ছিলাম। ভাবছিলাম আর চিন্তা করছিলাম। ঠিক সে সময় দেখি এক ভদ্রলো রেল লাইন দিয়ে হাঁটছে ট্রেন এসে গেছে।
তারপরও সে চড়ছে না। দেখে মনে হচ্ছে অন্যরকম কিছু ঘটবে। তারপরে আমি দৌড়ে গিয়ে টান দিয়ে তাকে বাঁচালাম। এখন আমি যদি এখানে না থাকতাম। এতক্ষণে তার অনেক কিছু হয়ে যেত।
তারপরে ভদ্রলো কে আমি প্রশ্ন করলাম। ভাই এমনটা করতে যাচ্ছেন কেন? জীবনটা নাকি এত সহজ নাকি। তখন ভদ্রলোকটা চোখের পানি মুছতে মুছতে বলল ভাই। আর বইলেন না যেহেতু আপনি আমার জীবন বাঁচিয়েছেন। আপনাকে বলি আল্লাহর রহমত তিন চারটা প্রতিষ্ঠানের মালিক আমি।
টাকা পয়সা আমার কোনো অভাব নেই
আগে আমি একটু বাসায় ফিরি।আমার স্ত্রী অন্য একটা পুরুষের সাথে। আপত্তিকর অবস্থায় শুয়ে আছে। সেটা দেখার পর থেকে আমি আর আমি আর নিজের মধ্যে নেই। একটা পুরুষের এর থেকে বড় কষ্ট আর কি আছে। আছে নাকি আমার স্ত্রী কোনো আশা পূর্ণ রাখিনি। যখন যেটা চেয়েছি তখন সেটাই দিয়েছি। তাকে সময় দিতে পারি না। বুঝেন তো তিন-চারটা ব্যবসার চাপ।আমাকে সামলাতে হয়। তার গল্প শুনতে শুনতে লেনলাইন হেঁটে সামনের দিকে যাচ্ছিলাম।
আর মনে মনে ভাবছিলাম। দুনিয়ার সকল সমস্যা বউদের জন্য। আরেকটু সামনে যেতে দেখলাম। একটা ভদ্রলোক রেন লাইনে বসে বসে সিগারেট খাচ্ছি।
তার থেকে আগুন নিয়ে আমরাও দুইটা সিগারেট ধরালাম। লোকটাকে দেখি ভদ্রলোক মনে হয়েছিল। তাই তাকে জিজ্ঞেস করলাম ভাই। এত রাতে রেন লাইনে বসে কেন?সমস্যা নাকি লোকটা তখন বলল ভাই আর বইলেন না। আজকে আমাদের চতুর্থম বিবাহ বার্ষিক।
গত তিন বছরের একটি করে গোলাপ, একটি চকলেট নিয়ে বাসায় ফিরি। আজ কে ভুলে গিয়েছিলাম। যার কারণে সে আমাকে বাসা থেকে বের করে দিয়েছে। এটা বলার সাথে সাথে আমরা হেসে দিলাম। লোকটা তখন বলতাছে আমার দুঃখের কথা শুনে হাসেন। দিনে অফিসে বসার জায়গা আর রাতে বউয়ের জ্বালা। এত জ্বালা নিতে পারছি না।
জালাই জ্বালাই জীবনটাই শেষ হয়ে যাচ্ছে
তোমাদের দুজনের ঘটনা সে লোককেও বললাম। টিক তখনিই পুলিশ এসে। আমাদেরকে ঘেরাও করে ফেলল। আর বলল আপনার এত রাতে কি করেন। নিশ্চয়ই আপনাদের কোনো খারাপ ধান্দা আছে। এ বলে আমাদেরকে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে গেল। তিনজন বোঝাবার অনেক চেষ্টা করছি। পুলিশতো নাসির বান্দা। কিছুই বুঝতে চাইলো না।
পুলিশের বেনে করে যাচ্ছিলাম আর মনে মনে ভাবছিলাম। এ পুরুষ পাশের বাড়ির ভাবি নামের কখনো সুনাম কইরো না। তাহলে আমার মত হবে। শেষ ঠিকানা জেলখানা।
তারপরে থানায় গিয়ে আমাদের আটকে রাখা হলো। কিছুক্ষণ পরে ওসি সাহেব আসলো। এক পুলিশ বলল এত তাড়াহুড়া করে বের হয়ে গেলেন।এত তাড়াতাড়ি ফিরে আসলেন।
আজকে রাতে তো আপনার ডিউটি নেই। তখন ওসি সাহেব বলল এই তুই বুঝবি না। এরা কারা ওদেরকে আটকে রেখেছ কেন?
তারপরে আপনার সমস্ত ঘটনা খুলে বলি। ওসি সাহেবকে বললাম আমাদের ঘটনা বলার পর আমাদেরকে সসম্মানে বের করে দেয়া হলো। চলে আসছিলাম। ঠিক সময় শুনলাম একজন পুলিশ বলতাছি ওসি সাহেব বলতাছে টাকা ছাড়া কখন আপনি ছাড়েন নাই। খুব সহজে আপনি ছেড়ে দিলেন। ঘটনাটা বুঝলাম না।
রাত করে রেললাইন ধরেছিলাম।কত টাকা কষাতে পারতাম। ওসি সাহেব তখন বলতাছে। তুমি কিছুক্ষণ আগে জিজ্ঞাস করছিলেন। ডিউটি না থাকা সত্ত্বেও অফিসে ফিরে আসলাম। তাহলে শুনো। আজকে তোমার ভাবীর জন্মদিন ছিল। আগেই বলেছিল একটু আগে বাসায় ফেরার জন্য। তুমি তো জানি কাজের চাপে।
আমার অনেক দেরি হয়ে গেল। বাসায় যেতে দেরি হয়েছে। তাই আমাকে ঘরে প্রবেশ করতে দেয়নি। তার কারণে ভাবলাম আজ রাত থানায় কাটিয়া দিব। কি আর করার। এক পুলিশ বলতাছে এই কথা আর কাউকে বলবেন না।
আপনি তিন থানার ওসি। আপনার বউ আপনাকে ঘরে প্রবেশ করতে দেই নাই। ওসি সাহেব তখন বলতেছে ভাই বউ এর কাছে ওসি চলেন। আমি তখন চলে আসতে আসতে ভাবতে লাগলাম।
যে বইয়ের কারণে ফেঁসে গিয়েছিলাম। এই বই এর কারণে আজকে সাড়া পেয়েছি। আজকে যদি ওসি সাহেবের সাথে এমনটা না হতো। তাহলে কখনো ওসি আমাদেরকে ছাড়তো না। আজ রাতে হইত থানা মধ্যে হয়তো মশার কামড় খেতে হতো। গল্পের শিক্ষা।
বউয়ের সামনে কোনো অন্য নারীর প্রশংসা করবেন না। নারীরা সবকিছু সহ্য করতে পারে। এই জিনিসটা সহ্য করতে পারে না। বিড়ালের মত বউটাও ভাগিনি হয়ে যাবে। বর্তমানে কাজের চাপে বউকে সময় দিতে পারে না। তারা হয়তো এটা জানে না। তারা প্রিয় মানুষের কাছে একটু সময় ও চায়।
🥰🤣
Wow🥰☺️
☺️☺️