একজন শিক্ষকের গল্প যা পড়লে একদম কান্না করে দিবেন

শ্রেষ্ঠ শিক্ষক।


কারো জীবনে গল্পটা যে এত দমারিক তা এই গল্পটা না শুনলে বুঝবেন না লিখেছেন একজন শিক্ষক। আমি সেভাবেই বলব। বাস্তবতাও এমনটা হতে পারে বা কল্পনাও বাস্তবতা আমরা আগেও জানা নাই।

কিন্তু আমার বিশ্বাস হচ্ছে না আপনাদের মূল্যবান মতামত কমেন্ট বক্সে আশা করছি। তিনি ঠিক এভাবেই বলেছেন। আমি পতিতালায় গিয়েছিলাম। আমি টাকার বিনিময়ে একটি মেয়ে পেয়েছিলাম। এই মেয়েটা ছিল। আমার ভালোবাসার মানুষ। আপনারা হয়তো আমার কথাটা শুনে অবাক হচ্ছেন।

আমিও সেদিন অবাক হয়েছিলাম ইচ্ছা করে। সেখানে যাইনি যাওয়ার একটা কারণ ছিল। আমার ভাগ্য টেনে নিয়েছিল। আমি একজন বাজিতপুর কলেজের শিক্ষক। তাহলে শুনুন আমার পতিতালায় যাওয়ার কাহিনী। আমার নাম নিলয় বাসা বাজিতপুর খুব ছোট্ট ছিলাম। আমার মা মারা যায়। মারা যাওয়ার পর আমার বাবা বিয়ে করে। আনে আমার নতুন মা ছিল। অত্যন্ত সুন্দরী। ভাই বোন ছোট ছিলাম আমাদের ভালই আদর যত্ন করত। ছোট্ট করে মানুষ করত আমরা যতই বড় হচ্ছিলাম।

আমাদের উপরে অত্যাচার বেড়ে চলছে। আমার বাবা আমাকে স্কুলে ভর্তি করিয়ে দেয়। কিন্তু সৎ মা স্কুলে যেতে দিত না। আমাকে দিয়ে সমস্ত বাড়ির কাজ করিয়ে নিতো। এত কাজ করতে করতে আমার খুব কষ্ট হতো। সারাদিন আমাদেরকে দুই বেলা কাবার দিত। তাও অল্প একটু আমার বাবা এসব কিছুই জানত না। ভোর বেলা দোকানে চলে যেত।

রাত্রিবেলা বাসায় ফিরত


তখনই আমরা ঘুমিয়ে যেতাম। এমনও হয়েছে বাবার সাথে মাস আমাদের দেখাই হয়নি। বাবা আমাদের খোঁজখবর নিত না। সে হইতো ভাবতো সৎ মা আমাদের ভালই লিখেছে। আপু কে দিয়ে সমস্ত বাড়ির কাজ করিয়ে নিতো। সকালবেলা গোয়াল ঘর থেকে গরু ছাগল বের করা। বাড়িঘর পরিষ্কার করা। তালা বাসুন পরিষ্কার করা। রান্না করা।

সমস্ত কাজ ছোট্ট মেয়েটি দিয়ে সব করাতো। যদি আপু একটু কাজ করতে দেরি হয়। তখন তাকে অনেক মার দূর করত। তখন সে কান্না করত। বাইরের সময় কাজে যেতাম। আমাকেও মারতো। আমি ভয় কখনো তাকে কাছে যেতাম না। একটা গ্যারেজ তো সমস্ত কাজ আপু কে দিয়ে করা হয়। তো আমাকে দিয়ে গরু ছাগল গাছ কাটানো হতো। গরু ছাগল মাটি নিয়ে যেতে হতো। আমরা যদি কখনো কাজ না করতে চাইতাম।

আমাদের কে প্রচুর মারধর করত। ঠিকমতো ভাত খেয়ে দিত না। আপুই মাছ মাংস রান্না করত। আর আমাদের কপালে জুতো ডালভাত। যাও আবার অল্প খাওয়ার পর তিন মক পানি খেতে হতো। সৎমার পরিবার থেকে আত্মীয় আস্ত। ফলমূল অনেক কিছু নিয়ে আসতো। আমাদেরকে কখনই দিত না।

ছোট ছিলাম তো লোভ হতো। আমি আর আব্বু দুটো মিষ্টি চুরি করে কিয়েছিলাম। তবে শান্তি পাইনি। মিষ্টি খাওয়ার পর জেনে যাই। এবং প্রচুর মারধর করে। বিশ্বাস করেন।

তারপরে জীবনে আর আমি মিষ্টি আমি ছুঁয়ে দেখিনি। সৎ মা বাবার সামনে একটু ভালো আচরণ করলেও। বাবা চলে যাওয়ার পর থেকে অত্যাচার শুরু করতো। নিয়মিত স্কুলে যেতে পারতাম না।

মাঝেমধ্যে স্কুলে যেতাম


আর রাতে লেখাপড়া করতাম। আর দিনে সমস্ত কাজ বাস এভাবে চলে। কিছু বছর যখন আমি ক্লাস নাইনে পড়ি। বড় হয়েছি। কখনো আমাদেরকে নতুন পোশাক কিনে দেওয়া হতো না। বাবা কখনো যদি মাঝেমধ্যে কিনে দিত। সৎ মা সেটা নিয়ে যেত। পড়তে দিত না। আপু এত বড় হয়েছে। তারপরও তাকে একটা ভালো পোশাক পড়তে দিত না।

সব সময় নোংরা পোশাক থাকতো।আমার যখন ১৫ বয়স দশ বছরের মধ্যে এমন একটা দিন খুঁজে পাওয়া যাবে না। সৎ মার হাতে মার খাইনি। আমাদের অত্যাচার আরো বেড়ে গেল। যখন সৎ মায়ের ঘরে আরেকটি কন্যা সন্তান এলো।

আমাদের এই ছোট্ট বোনটাকে ভালো লাগতো। তাই চারপাশে ঘুরাঘুরি করতাম। কখনো তুলে নেওয়ার সাহস পেতাম না। একদিন সাহস করে কোলে নিলাম। নিয়ে একটা চুমু খেয়েছিলাম। তারপরে যে ঘটনা হয়েছে। আমি কখনো ভুলতে পারবো না।

সেদিন আমার সৎ মা এমন জোরে থাপ্পড় মেরেছিল। আমার একটি দাঁত পড়ে যায়। এভাবে চলছিল। আমাদের জীবন আমাদের এই ছোট্ট বোনটার নাম ছিল। রিফাকে আমাদের কাছে আসতে দিত না।হঠাৎ করে আমার বড় আপুর একদিন বিয়ে হয়ে যায়।

একটা প্রাইমারি স্কুলের শিক্ষকের সাথে। বিয়ের দিন আমার মত খুশি। আর কেউ হয়নি। বরটা মানুষ হিসাবে অনেক ভালো। আপু অনেক সুন্দর ছিল। পড়ালেখা না জানা সত্ত্বেও শিক্ষক হইও সে বিয়ে করেছিল। আপু যে শশুর শাশুড়ি পেয়েছে। বললে ভুল হবে। আপু একদম বাবা মা পেয়েছে।আপু অনেক সুখে আছে। সৎ মায়ের সহ্য হতো না। আপু বিয়ে হওয়ার পর থেকে।

আমার অত্যাচার অনেক বেড়ে যায়। আমাকে মেয়েদের কাজ করতে হয়। আমি সেই সমস্ত কাজ। আমার ছোট বোনই রিপা যদি আমাকে হেল্প করতে আসতো। মা তাকে বকা দিত। আর অপহয়দের কাছে কখনো যাবি না। গেলে তোকে মেরে ফেলবো।

সৎ মা আমাকে কেমন খাবার দিত। রিফা তো সবই জানতো। আমার সৎ বোন হলেও কখনো তাকে সৎ বোন হিসেবে দেখিনি। রিপা আমাকে অনেক ভালোবাসতো। কখনো সৎ ভাই হিসেবে দেখিনি। রিপার রুম থেকে আমার রুমে আশার একটা দরজা ছিল। প্রত্যেকদিন রিপা বেশি বেশি খাবার নিয়ে রুবে আসতো।

মা বললে আমার রাতে ক্ষুধা লাগে তাই। আমি রাতে খাই তাই খাবার গুলো রাতের বেলায় আমাকে খাইয়া দিত। আমি সেই খাবারগুলো খেতাম কান্না করতাম। এটা আমার প্রত্যেক রাতের সুখের সুখের কান্না ছিল। আস্তে আস্তে এসএসসি পাস করে ফেললাম। স্কুলে না গিয়েও আমি এ পাঁচ পাই। সারারাত জেগে লেখাপড়া করতাম। আর চিন্তা করতাম একদিন লেখাপড়া করি বাড়ি থেকে পালিয়ে যাব। আর নিজেকে মুক্তি দিব। আর আমি সবসময় ভাবতাম ইন্টার পাশটা করে।

আমি বাড়িতে তাকে পালিয়ে যাব দু বছরের মধ্যে ইন্টার পরীক্ষা দিলাম। ইন্টার ও ভালো রেজাল্ট করলাম। তারপরও সৎ মা আমাকে রোজ মারতো। আস্তে আস্তে বাবা অত্যাচার শুরু করলো। সৎমা ছিল অত্যন্ত সুন্দরী। তার কথা যদি বাবা না শুনতো বাড়িতে থেকে চলে যাব। এই ভয়েই বাবা সমস্ত তার কথাই শুনতো। তারপরে একদিন অত্যাচার সহ্য না করতে পেরে চলে যাই। আপুর বাসায় ছিল ভৈরব যাওয়ার পরে। আপু এত খুশি হয়েছিল ওকে দেখার পর দশ মিনিট জড়িয়ে ধরে কান্না করেছিল। দৃশ্য দেখে আপুর বাসার সবাই। সেদিন কান্না করে দিয়েছিল বাসায় সবাই ছিল।

শিক্ষিত মানুষ শুধু আপুই লেখাপড়া জানতো না। দুলাভাই এখন আপুকে বই এনে পরিয়ে অনেকটা শিখিয়ে ফেলেছে ইংরেজিতে কথা বলতে পারে। আপুর একটি পুটপুটে বাবু হয়েছে।

আমি সেখান থেকে লেখাপড়া শুরু করলাম করে।ঢাকা ভর্তি হইলাম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় চান্স ও পেয়ে গেলাম। আপুর বাসার আসার পর থেকে। আর কখনো মা-বাবার সাথে কথা বলিনি। মাঝে মাঝে ফোন দিতে বাড়ি থেকে। আপুকে নিয়ে এবং বাবুকে নিয়ে খুব ভালই কাটছে। আমার দিন শশুর শাশুড়ি মনে হচ্ছে।

আমার আপন বাবা-মা দুলাভাই একটা অন্যরকমের মানুষ। আমার কখন কি লাগবে সব সময় খেয়াল রাখতো। আমি একটা টিউশনি করতে চেয়েছিলাম। আপু শশুর শাশুড়ি বলেছে আমার ছেলে টিউশনি করতে পারবেনা। সেদিন আমি অনেক কান্না করেছিলাম সে কান্না ছিল খুশির কান্নাGolp

আমার দিন ভালোই কাটছিল


দেখতে দেখতে লেখাপড়া শেষ হয়ে গেল। হঠাৎ একদিন আমার সৎ মা আমার বাবা আসলো। আমাদের বাড়িতে শুনলাম তার নাকি আমাকে নেওয়ার জন্য এসেছে। আমি সেদিন যেতে চাইনি। কিন্তু ছোট বোন রিফা ও আপুর কথা শুনে। সেদিন আমাকে বাজিপুর ফিরে যেতে হয়েছিল। সৎ মা ভালোই ব্যবহার করত ভালোই খেয়াল রাখত। একদিন আপুর সাথে কথা বলতাম। কিছুদিন পরে বাড়ির কাছে একটা সরকারি চাকরি পেলাম। ভালো রেজাল্ট থাকার কারণে।

ভালোই চলছিল দিন চলতে চলতে কিছুদিন একটা এতিম মেয়ের সাথে আমার সম্পর্ক হয়। বাবা বা ছোট কালি মারা গেছে ও মামার বাড়িতে থাকে মানুষ হয়েছে। মেয়েটার নাম হল নিন্দা। নিন্দা আবার অনার্স থার্ড ইয়ারে পড়ে। ওর সাথে পরিচয় হয়েছিল ওর মামার সাথে ওর মামা আমাদের কলেজের প্রফেসর।

নিন্দা শ্যামলা ছিল দেখতে অনেক মায়াবী। ওর দিকে একবার তাকালে চোখ পিড়ানোই যায় না। নিন্দার মামা বুঝে গিয়েছিল আমাদের মধ্যে সম্পর্ক আছে। তিনি কোনো আপত্তি করেননি। ঠিক করেছিলেন আমার সাথে বিয়ে দিবেন। বাসা থেকে সৎ মা ছাপ দিতে লাগলো। তার বোনের মেয়েকে নাকি আমাকে দিয়ে আনবে। আমি সেটা সোজাসুজি না বলে দেই না বলার পর থেকে। আবার সৎ মা আবার আবার সাথে খারাপ ব্যবহার করে। সেদিন কিছুটা বুঝতে পেরেছিলাম আচরণ করার কারণেটা ওই সময় নিন্দা কে একটা ছেলে বিরক্ত করতো।

তারপরে আমি ছেলেটা কি প্রচুর মারধর করেছি। নেশা করছিল আর যাওয়ার সময় বলে গিয়েছিল ওই মেয়েটি কপালে খারাপ আছে। মিলিয়ে নিস। তারপরে একদিন সৎ মা আমার ঘরে আসলো তারপরে বলল। তার বোনের মেয়েকে নাকি আমাকে বিয়ে করতে হবে আমি না বলে দেওয়ার সাথে সাথে। তার জামাকাপড় চ**** লাগলো আর চিৎকার করতে লাগলো আমার সর্বনাশ করিস না। ওদিক থেকে বাবা দৌড়ে এসে।

বাবাকে কান্না করতে করতে সমস্ত ঘটনা বলল। বাবা মায়ের চিড়া কাপড় বিশ্বাস করে ফেলল। বাবা সেদিন অনেক মার দূর করেছিল। এতটা মারধর করেছিল যে উঠে দাঁড়ানো শক্তি নেই। তারপরে বাবা আমাকে বাড়ি থেকে বের করে দেয়। তারপর আমি একটা বন্ধুর বাসায় চলে যাই এখানে গিয়ে সমস্ত ঘটনা খুলে বলি।

আমার বন্ধু কিছুতেই বিশ্বাস করতে পারছে না। সে বলে মা একটা ছেলের সাথে এমনটা করতে পারে না। ওদিক থেকে নিন্দার মামা কবর দেয় নিন্দাকে নাকি পাওয়া যাচ্ছে না। অনেক খোঁজাখুঁজি পড়ার পরেও। তারপরে তো আমি অনেক চিন্তায় পড়ে যাই। অনেক খুঁজেখুজি পর জানতে পারি ওই ছেলেটাকে নিন্দা কে নিয়ে খারাপ জায়গায় বিক্রি করে দিয়েছে।

তারপরে আমি সেখানেই যাই নিন্দা কে দেখতে পাই। এবং নিন্দা কে দেখে আমি জড়িয়ে ধরি। এখানকার মানুষ কিছুটা সন্দেহ করে ফেলে। যেখানে তাকাও মহিলাটা তখন বলে। ভালোবাসা জায়গা না যায় করতে এসেছ কর। তাড়াতাড়ি এখান থেকে চলে যাও। আমি তাকে তখন বলি রুম থেকে বের হয়ে। যেতে তখন সে সন্দেহ করে ফেলি যা করতে হয়।

আমার সামনেই কর। আর ওদিক সেদিক কর একদম পুলিশে দিয়ে দিব নিন্দার চোখে জল পড়ছিল মহিলাটা একটু সময়ের জন্য বাইরে যায়। ওই সময় আমি পুলিশকে ফোন দিয়ে বলি পুলিশ আমার পরিচিত হয় শীঘ্র সেখানে চলে আসে। ওই মহিলা কে ওই ছেলেকে গ্রেপ্তার করা হয়। আমিও সেখান থেকে নিন্দা কে উদ্ধার করতে সক্ষম হয়।

আমাদের বিয়েতে আপুর শ্বশুর বাড়ির সবাই তাকে বাবা ও নাকি ছোট বোনের কাছ থেকে জানতে পেরেছে। আসল ঘটনা ঘটনা জানার পর সৎ মাকে বাবা বাড়ি থেকে বের করে দেয় বলে দিয়েছে। আমার বাড়িতে কখন আসবি না। তুই যত টাকা পয়সা পাস তোর কাছে পাঠিয়ে দিব। বাবা তার ভুলের কারণে আমার কাছে ক্ষমা চাই আমাদের অনেক সুখে শান্তিতে দিন কাটতে লাগলো।


 Golpo
Previous chapter Next chapter
3 Comments
  • Anonymous
    Anonymous March 22, 2023 at 11:48 PM

    😢

    • Niloy Marjan
      Niloy Marjan October 7, 2023 at 7:48 AM

      ❤️

  • Anonymous
    Anonymous March 22, 2023 at 11:48 PM

    😲 wow

Add Comment
comment url